সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক অত্য়াচার। বদলা নিয়ে ১০ বছরের এক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এমনকী, তাঁকে ধাক্কা মেরে একতলার বারান্দা থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্য়ু হয়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের উত্তর দিকের গ্রামে আদর্শ প্রাথমিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। সে স্কুলের শিক্ষক ছিলেন মুথাপ্পা। বেলচা দিয়ে ১০ বছরের শিশুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর বারান্দা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় খুদের।
[আরও পড়ুন: ভারতেই জন্ম মেসির! আর্জেন্টিনা বিশ্বজয়ের পর কংগ্রেস সাংসদের টুইটে তাজ্জব নেটদুনিয়া]
গোদক এলাকার পুলিশ আধিকারিক শিবপ্রকাশ দেবারাজু জানিয়েছেন, এটা পরিবারিক অশান্তি। শুধু ১০ বছরের ভরত নয়, তাঁর মা গীতা বারকরকেও মারধর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মৃত শিশুর মা-ও ওই স্কুলের শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। আপাতত অভিযুক্তর হদিশ মেলেনি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও অজানা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শিক্ষকের বেধড়ক মারে জ্ঞান হারায় ছাত্র৷ অসুস্থ অবস্থাতেই দীর্ঘক্ষণ পরে ছিল স্কুলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরে (Bolpur)। বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে রাখে উত্তেজিত অভিভাবকরা৷ আক্রান্ত ছাত্রকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘দুজন বিচারপতি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না’, সমলিঙ্গ বিবাহের বিরুদ্ধে সরব BJP সাংসদ]
বোলপুরের নাহিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্বস্তিক মাঝি৷ ইক্ষুধারা গ্রামের বাসিন্দা সে। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার স্কুলে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, স্কুলে বিশৃঙ্খলা করার অপরাধে শিক্ষক পার্থ মাহাতো স্বস্তিককে বেধড়ক মারধর করেন৷ স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের দাবি, শিক্ষকের মারধরের জেরে জ্ঞান হারায় ওই ছাত্র৷ জানা গিয়েছে, দেড় ঘণ্টা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকলেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।