বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রেলের যে কোনও প্রকল্প রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া মন্ত্রকের দায়বদ্ধতা। কিন্তু বন্দে ভারত নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের আদিখ্যেতা পার্টি যে ভালভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট করলেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। বৈঠকের প্রথম দিন রাজনৈতিক প্রস্তাবনার উপর আলোচনায় সমালোচনার মুখে পড়েন বিজয়ন।
সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) সূচনায় একমাত্র বাম শাসিত রাজ্যে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে মোদির (Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন কেরলের সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ত্রিপুরা ভোটে পার্টির ভরাডুবির জন্য রাজ্য পার্টি দায় স্বীকার করেছে বলে দিল্লির একেজি ভবন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘হুজুর, ওটা ফলস কেস! এবার CBI মামলায় আমায় জামিন দিয়ে দিন’, কাতর আরজি অনুব্রতর]
বিরোধীদের কন্ঠস্বর রোধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। অভিযোগে সরব বিজেপি বিরোধীরা। দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বাম শাসিত রাজ্য কেরলও তার বাইরে নয়। সেখানেও ইডি (ED) ও সিবিআইকে (CBI) ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবাদ করেছে সিপিএম (CPIM)। কিন্তু সম্প্রতি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তাতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কমরেডকুলের নেতাদের। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে পার্টির অন্দরে। সেই ঢেউ আছরে পরলো কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: ইডির আবেদনে সাড়া, ১৯ জুন পর্যন্ত হেফাজতে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার কুন্তল ঘোষ]
লোকসভা ভোটের একবছরও বাকি নেই। বিজেপি বিরোধিতায় ‘অল আউট’ নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাতরা। তখন পার্টিরই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে মোদির প্রশংসায় নেতৃত্ব যে অস্বস্তিতে এদিন বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য জানান, কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প নিয়ে বক্তব্য বা মন্তব্য করার আগে নেতৃত্বকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও বিজয়নের নাম করা হয়নি। কিন্তু তাঁকেই যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা নিশ্চিত বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, ত্রিপুরার ফলাফল নিয়ে বৈঠকে পর্যালোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। ভরাডুবির জন্য তিপ্রা মথার (Tipra Motha) ঘারে বন্দুক রাখা হলেও নিজেদের ব্যর্থতাকে স্বীকার করা হয়। জানা গিয়েছে, তিপ্রা মথাকে বিজেপি (BJP) বিরোধী জোটে সামিল করতে না পারার ব্যর্থতার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে। ফলে ২৬টি আসনে ভোট কাটাকুটিতে জোট প্রার্থীকে হারতে হয়েছে।