সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ্যপ এক আইএএস আধিকারিকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাংবাদিকের। শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুবন্তপুরমে। মৃত সাংবাদিকের নাম কেএম বশির। ৩৫ বছরের ওই যুবক মালয়ালম সংবাদপত্র সিরাজের ব্যুরো চিফ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে জখম হওয়া ওই মদ্যপ আইএএস আধিকারিক শ্রীরাম ভেঙ্কটরামনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ। এদিকে, সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা।
[আরও পড়ুন: হোটেলে ‘অশ্লীল’ আচরণ, সমকামী যুগলকে হেনস্তা কর্তৃপক্ষের]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার গভীর রাতে তিরুবন্তপুরমের একটি রাস্তা দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন মদ্যপ ওই আধিকারিক। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে একজন মহিলাও ছিলেন। রাত ১টা ৩৫ মিনিটে আচমকা কেএম
বশিরের বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। তারপর একটি সরকারি অফিসের দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বশিরের।
মনিকুট্টন নামে এক অটোচালক জানান, গাড়ি চালানোর সময় ওই আধিকারিক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার পরে গাড়ি থেকে নেমে এসে মাটিতে পড়ে থাকা সাংবাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই, ছত্তিশগড়ে খতম ৭ মাওবাদী]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে একবছর কাটানোর পরে গত সপ্তাহেই আমেরিকা থেকে কেরল ফিরেছেন ওই আধিকারিক। তারপরই রাজ্যের ল্যান্ড রেকর্ডস ও সার্ভে ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১২ সালে আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শ্রীরামকে। গত ১ আগস্ট থেকে সেই পদে যোগও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপরই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেল।
প্রশাসন সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কেরলের ইডুক্কি জেলার দেবীকুলামে সাব কালেক্টরের দায়িত্ব সামলেছিলেন শ্রীরাম। কিন্তু, পদে যোগ দেওয়ার পরেই সেখানকার এক সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন তিনি। ওই সিপিএম বিধায়কের জমি দখলের ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে এসে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এর ফলে রাজ্যের শাসকদল সিপিএমের কুনজরে পড়তে হয় তাঁকে। আর তাই মেয়াদ ফুরনোর আগে ওই এলাকা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয় তাঁকে।
The post মদ্যপ আইএএস আধিকারিকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত কেরলের সাংবাদিক appeared first on Sangbad Pratidin.