shono
Advertisement
Waqf bill

ওয়াকফ আলোচনায় গরহাজির প্রিয়াঙ্কা, নীরব রাহুল! ক্ষুব্ধ মুসলিম সংগঠন বলল, 'কালো দাগ'

ওয়াকফ বিতর্কের সময় সংসদে গরহাজির ছিলেন প্রিয়াঙ্কা, ভাষণ দেননি রাহুল।
Published By: Subhajit MandalPosted: 03:59 PM Apr 05, 2025Updated: 03:59 PM Apr 05, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় সম্মিলিত ইন্ডিয়া শিবির। সংসদে প্রায় ২৪ ঘণ্টার বিতর্কে প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলকে সাম্প্রদায়িক এবং সংবিধান বিরোধী প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করেছে বিরোধী শিবির। যদিও শেষমেশ সংখ্যাধিক্যের জেরে বিলটি পাশ করিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে মোদি সরকার, তবু যে দীর্ঘ বিতর্ক এই বিলটি নিয়ে সংসদে চলল, সেটা রীতিমতো ঐতিহাসিক। অথচ এ হেন বিতর্কে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব থেকে গেলেন খোদ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। গান্ধী পরিবারের আর এক সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আবার সংসদেই গরহাজির! যাতে ক্ষুব্ধ একাধিক মুসলিম সংগঠন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেরলের বৃহত্তম মুসলিম সংগঠন সমস্ত কেরালা জেম ইয়াথুল উলেমা।

Advertisement

ইয়াথুল উলেমার মুখপত্র সুপ্রভাতম-এর সম্পাদকীয়তে বলা হল, যেভাবে ওয়াকফ নিয়ে আলোচনার সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সংসদে গরহাজির থাকলেন, সেটা গণতন্ত্রে কালো দাগের মতো। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, যে বিল মুসলিমদের মৌলিক অধিকার হরণ করে, সংসদে সেটা যখন পাশ করানো হল, তখন নিন্দনীয়ভাবে গরহাজির থাকলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর রাহুল গান্ধীও একটা কথাও বললেন না। এটা গণতন্ত্রে কালো দাগের মতো।

আসলে, ওয়াকফ নিয়ে সংসদে বিতর্ক থেকে আশ্চর্যজনকভাবে নিজেদের সরিয়ে নেয় গান্ধী পরিবার। যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে সরকারপক্ষের নেতৃত্ব করলেন, সেখানে রাহুল গান্ধী নীরব থাকলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থাকলেন গরহাজির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাহুল গান্ধী ওয়াকফ আলোচনার সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন। একাধিক দলীয় সাংসদের ভাষণ শুনেছেন কিন্তু নিজে ভাষণ দেননি।

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, ওয়াকফ নিয়ে রাহুলের নীরবতা তাৎপর্যপূর্ণ এবং পরিকল্পিত। মনে রাখা দরকার, আগামী কয়েক বছরে বিহার, বাংলা, তামিলনাড়ু, অসম, গুজরাটের মতো রাজ্যে নির্বাচন। সেই নির্বাচনগুলিতে মুসলিম ভোট যেমন কংগ্রেসের প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন হিন্দু ভোটেরও। সম্ভবত সেকারণেই সরাসরি ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে নিজেদের 'মুসলিমপন্থী' বলে দেগে দিতে চাননি গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। তাতেই ক্ষুব্ধ ইয়াথুল উলেমা নামের ওই মুসলিম সংগঠন। ওই সংগঠনের ক্ষোভ কংগ্রেসের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ কেরলের মুসলিমদের একটা বড় অংশের উপর প্রভাব রয়েছে ওই সংগঠনের। ঈশ্বরের আপন দেশে বরাবর কংগ্রেসকে সমর্থন করে আসছে সংখ্যালঘুরা। সমস্যা হল, উলেমা যদি রেগে যায়, তাহলে আগামী বছর বিধানসভায় নিরঙ্কুশভাবে সংখ্যালঘুদের সমর্থন পাওয়া নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে না হাত শিবির।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ওয়াকফ বিতর্কে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব থেকে গেলেন খোদ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
  • গান্ধী পরিবারের আর এক সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আবার সংসদেই গরহাজির!
  • ক্ষুব্ধ একাধিক মুসলিম সংগঠন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেরলের বৃহত্তম মুসলিম সংগঠন সমস্ত কেরালা জেম ইয়াথুল উলেমা।
Advertisement