সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দু’দিন পিছিয়েছে সাজা ঘোষণা। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আগেই। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের সাজা ঘোষণা যেন কিছুতেই সহজ হচ্ছে না। রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত বৃহস্পতিবারও তা স্থগিত রেখেছে। তবে এবার খোদ বিচারকের বিরুদ্ধেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তির লালুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
[ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ফের পিছল লালুর সাজা ঘোষণা ]
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় কী সাজা হয় লালুর, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। ৩ জানুয়ারি এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে তা পিছিয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও তা স্থগিত রাখা হল। তবে এদিন বিস্ফোরক কথা শোনা গেল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের মুখে। প্রথমদিন থেকেই এ নিয়ে আদালত চত্বরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় আদালতকে। তার মধ্যেই লালুপ্রসাদকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তবে রায় ঘোষণা হলে রাজ্যের অবস্থা কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কা ছিলই। লালু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই আদালতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন আরজেডি নেতারা। এই প্রথমবার তাই নজিরবিহীনভাবে আদালতের বাইরে করা মন্তব্যের ভিত্তিতেই আদালত অবমাননার নোটিস জারি করা হয়েছে। তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ আরজেডি নেতারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঁচ থেকে সাত বছর জেল হতে পারে লালুর। কিন্তু তা ঘোষণার মুহূর্তে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। এদিন বিচারক বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করা হবে কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। শুক্রবারই তা জানানো হবে। এরপরই তিনি জানান, লালুর রেফারেন্সে একাধিক ফোন তিনি পেয়েছেন। তবে আইন আইনের পথে চলবে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে লালুর সাজা ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও চাপা উত্তেজনা। বিজেপি বিরোধী অলিখিত জোটশক্তির অন্যতম মুখ লালু। কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে তিনি যদি গারদের ওপারে যান, তবে বিজেপি বিরোধিতা বড় ধাক্কা খাবে। রাজা-কানিমোঝির মুক্তি যদি স্বস্তির হয়, তবে লালুর জেল বিরোধীদের কাছে মাথাব্যথার হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে বেশ কিছু নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাসকদলকে তা বাড়তি মাইলেজ দেবে। সব মিলিয়ে এই মামলার পরিণতি কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
[ মহিলা কো-পাইলটকে কষিয়ে চড় চালকের, মাঝ আকাশে চূড়ান্ত নাটক ]
The post খোদ সিবিআই আদালতের বিচারককেই ‘হুমকি’ ফোন লালু অনুগামীদের appeared first on Sangbad Pratidin.