সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিকাশ দুবের স্মৃতি এখনও উজ্বল। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশে এক দুষ্কৃতীর খোঁজে গিয়ে তারই সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মীর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি আরেকজন। তবে এবারের পরিস্থিতি কড়া হাতে সামাল দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর পরই কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী। এর পরই বিশাল পুলিশবাহিনী ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ওই মাফিয়ার ভাইয়ের। মূল অভিযুক্তের খোঁদে তল্লাশি চলছে।
[আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে যোগীরাজ্যের পুলিশি জুলুম! অভিযুক্তের পোশাক খুলে বেল্ট দিয়ে মারার ভিডিও ভাইরাল]
উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ জেলার নাগলা ধীমের গ্রামে অবৈধ মদের কারখানা গড়ে উঠেছিল বলে খবর পায় পুলিশ। সেই কারখানা বন্ধ করতে মঙ্গলবার গ্রামে গিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মী। সাব ইন্সপেক্টর অশোক ও কনস্টেবল দেবেন্দ্র গ্রামে ঢুকতেই মাফিয়া মোতির সাগরেদরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। লাঠি-বল্লম দিয়ে দুই পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তারা। ঘটনাস্থলেই কন্সস্টেবলের মৃত্যু হয়। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন সাব ইন্সপেক্টর অশোক। তিনিই পুরো ঘটনার কথা উচ্চ পদাধিকারীদের জানান।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। জানিয়ে দেন, উত্তরপ্রদেশে মাফিয়ারাজ চলবে না। অপরাধীদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে সরকার। এর পরই বিশাল পুলিশবাহিনী ফের অভিযান চালায়। ভোররাতে গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে তারা। মোতি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বদলে পালটা গুলি চালায় দুষ্কৃতীদের দলটি। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মদচক্রের পাণ্ডার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এ কথা জানান কাশগঞ্জে এস পি মনোজ সরকার। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত মোতি।
[আরও পড়ুন : নেটদুনিয়াতেও নজরদারি! ‘দেশবিরোধী’ পোস্ট খুঁজতে ভলান্টিয়ার নিয়োগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
প্রসঙ্গত, গত বছরই উত্তরপ্রদেশের আরেক মাফিয়া বিকাশ দুবেকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাত পুলিশ কর্মী। পরে ওই মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই গাড়ি উলটে তার মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক রয়েছে।