নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান প্রচার কর্মসূচিতে বঙ্গ বিজেপি থেকে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউই ডাক পেলেন না। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে ছ’দিনব্যাপী প্রচার কর্মসূচি রয়েছে। একজন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সামনে রেখে সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদদের টিম করে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রথম দিনের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যর টিমে বাংলা থেকে একমাত্র লকেটকেই রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং তেলেঙ্গানার সাংসদ অরবিন্দ ধর্মাপুরী। এই কর্মসূচিতে বাংলা থেকে কোনও মন্ত্রীও নেই। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রচার কর্মসূচিতে জায়গা পেয়েছেন লকেট।
বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং সাংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ফোন করে লকেটকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে যাদবের বাসভবনে গিয়ে কীভাবে কাজ করতে হবে, তা বুঝে নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন লকেট (Locket Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদি সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে প্রচার করার পাশাপাশি লোকসভার জিরো আওয়ারেও তা নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন লকেট।
[আরও পড়ুন: টেট বানচালের আশঙ্কা পর্ষদ সভাপতির, প্রশ্নফাঁসের ‘বিভ্রান্তিকর’ অভিযোগ শুভেন্দুর]
সেই সুযোগেই বাংলার তৃণমূল (TMC) সরকারকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বাংলায় বদল করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগও জানান। তাতে লোকসভার অন্দরে তৃণমূলের তরফ থেকে হুগলি জেলারই আরেক সাংসদ আরামবাগের অপরূপা পোদ্দার তীব্র আপত্তি জানান।
তবে লকেটের বক্তব্য রাখার সময়ে সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিজেপিরই সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল বারবারই লকেটের সময় শেষ বলে সতর্ক করার পাশাপাশিই তিনি ঠিক কী বলতে চাইছেন সেকথাও জানতে চান। পরে লকেট এদিন নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদি সরকারের প্রচারের পাশাপাশি বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তদন্তের দাবিও করেছেন।