সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) এক ব্যক্তি সাত বছরের মৃত মেয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন। যেহেতু শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল না স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। নিন্দায় সরব হয়েছিল গোটা দেশ। ফের একইরকম ঘটনা মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। সেখানে সদর হাসপাতাল থেকে চার বছরের মৃত মেয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন বাবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হল চোখে জল আনা সেই ভিডিও।
মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মণ আহিরওয়ার। বছর চারেকের মেয়ে অসুস্থ হওয়ায় গত সোমবার তাকে ছত্তরপুর বক্সওয়াহা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে পাঠানো হয় পার্শবর্তী দামোহ সদর হাসপাতালে। লক্ষ্মণ ভেবেছিলেন সদর হাসপাতাল চিকিৎসকরা নিশ্চয়ই মেয়েকে সুস্থ করে ঘরে ফেরাবেন। কিন্ত মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় এক রত্তির। এরপর শোকসন্তপ্ত পিতা শেষবারের মতো মেয়েকে বাড়ি ফেরানোর জন্য হাসপাতাল কর্মীদের অ্যাম্বুলেন্স কিংবা শববাহী যানের ব্যবস্থার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা লক্ষ্মণ আহিরওয়ারের কথায় কর্ণপাত করেনি।
[আরও পড়ুন: গুজরাট সফরে নিজের স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করলেন মোদি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি]
জানা গিয়েছে, এরপর নগর পঞ্চায়েতকেও একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সদ্য শিশুকন্যাহারা বাবা। নিকটবর্তী পৌডি গ্রাম অবধি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নগর পঞ্চায়েতও গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। শেষ পর্যন্ত গোটা পথ প্রথমে বাসে ও পরে মেয়ের দেহ কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন বাবা।
মৃত শিশুর দাদু জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্সের জন্য। কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে শিশুটির দেহ কম্বলে জড়িয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানতে চায়নি এই অভিযোগ। দামোহ সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিযস্ব শববাহী গাড়ি রয়েছে। শিশুর পরিবার শববাহী গাড়ি চায়নি।
[আরও পড়ুন: মৌর্য-গুপ্ত-পাণ্ড্যদের নয়, মুঘলদেরই গুরুত্ব দিয়েছেন ইতিহাসবিদরা, মন্তব্য অমিত শাহর]
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ের ঘটনাতেও স্বাস্থ্যকেন্দ্র অস্বীকার করেছিল যে তারা শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। তাদের বক্তব্য ছিল, শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা হয়েছিল, কিন্তু গাড়ি আসার আগেই ওই ব্যক্তি মেয়ের দেহ নিয়ে হাঁটা দিয়েছিলেন।