সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফোনে গলা শুনে মনে হত মহিলা। কিন্তু আসলে সে পুরুষ! যা করত সবই প্রযুক্তির কারিকুরি। মূলত আদিবাসী ছাত্রীদের স্কলারশিপের 'টোপ' দিয়ে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক ৩০ বছরের যুবককে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সিধি জেলায় এমনই এক অভিযুক্তের সন্ধান মিলেছে।
ঠিক কী অভিযোগ? ব্রজেশ প্রজাপতি নামের ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ কণ্ঠস্বর বদলানোর অ্যাপ ব্যবহার করে নারীকণ্ঠে সে ফোনে কথা বলত ছাত্রীদের সঙ্গে। তার পর তাদের স্কলারশিপের 'টোপ' দেওয়া হত। যেহেতু কলেজ শিক্ষিকা হিসেবে কথা বলত অভিযুক্ত, তাই সন্দেহের অবকাশই তৈরি হত না। আর তার পর সেই মেয়েদের জানিয়ে দেওয়া হত, শিক্ষিকার ছেলে গিয়ে তাঁদের নিয়ে আসবে। এই ভাবেই ফাঁদে ফেলে ৭ জন তরুণীকে সে ধর্ষণ করেছে বলেই অভিযোগ। একটি ঘটনায় জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত নাকি এক তরুণীকে কলেজ শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাইকে কোনও নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দাম দেয়নি অনসূয়াকে!’ আক্ষেপ পরিচালক কিউয়ের]
নির্যাতিতাদের মধ্যে চারজন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্তর হাতে পোড়ার দাগ ও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে জানান নির্যাতিতারা। যা পুলিশকে তাকে সনাক্ত করতে সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে। অবশেষে শনিবার 'গুণধর'কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার তিন সঙ্গী লবকুশ প্রজাপতি, রাহুল প্রজাপতি. সন্দীপ প্রজাপতিকেও। তবে তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬টি মোবাইল ফোন। জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতাদের ফোনও নাকি ছিনিয়ে নিত অভিযুক্ত।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই মামলায় তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তর বাড়ি। অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই সরকারি জমির উপরে ব্রজেশ বাড়িটি তৈরি করেছিল। তাই প্রশাসনের তরফে সেটি ধ্বংস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।