সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণ। এমনকী তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বর্তমান স্থানীয় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নির্যাতিতা। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোরানা জেলার নৃশংস ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবিতে সরব মহিলার পরিবার ও স্থানীয়রা। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণধর্ষণের পর গর্ভবতীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মহিলা কমিশন সক্রিয় হবে কি? সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঘটনাটি আম্বা টাউন থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের চান্দ কা পুরা গ্রামের। ৩৪ বছরের গর্ভবতী মহিলাকে গ্রামের তিন জন পুরুষ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাটে মহিলাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন তাঁরা। গোটা ষড়যন্ত্রে এক মহিলাও যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গোয়ালিওরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মহিলার শরীরের আশি শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে সভা পিছিয়ে দিল তৃণমূল, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী]
তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, ধর্ষণে ‘বদলা’য় ধর্ষণ ঘটেছে। অতীতে গর্ভবতী নির্যাতিতার স্বামী গ্রামেরই এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে জামিনে মুক্ত তিনি। ওই ঘটনার বদলা নিতেই গর্ভবতী এই মহিলাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ। আইনজীবীর কাছে, ধর্ষক ও ষড়যন্ত্রকারী মহিলার বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন নির্যাতিতা। তদন্ত পক্রিয়া চালাচ্ছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের এই বর্বর ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “বিজেপি এখন কী বলবে? এবার কি তাদের তথ্যসন্ধানী দল ঘটনাস্থলে যাবে? জাতীয় মহিলা কমিশন যাবে? সিবিআই কি তদন্তভার নেবে? প্রকৃত অপরাধী এবং তাঁদের রাজনৈতিক প্রভুরা গ্রেপ্তার হবেন? বিরোধীরা কি ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন?”