সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়', লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির বেহাল অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই ধ্রুব সত্যকে। একাধিক রাজ্যে বিজেপির বেহাল অবস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহারাষ্ট্র। বিশ্বাসঘাতকতাকে হাতিয়ার করে যে ভাঙা-গড়ার খেলা খেলেছিল বিজেপি ও একনাথ শিন্ডে ভোটের ফল বলছে তার জবাব দিয়েছে জনতা। শিবসেনাতে ভাঙন ধরিয়ে নিজেকে শিবসেনা বলে দাবি করা শিন্ডেদের ভোটের ফল খুব একটা ভাল নয়। এই অবস্থায় সূত্রের খবর, উদ্ধব শিবির ছেড়ে শিন্ডের হাত ধরে সাংসদ হওয়া ৭ জন ফিরতে চাইছেন উদ্ধবের কাছে। পরিস্থিতি যা তাতে রাজনৈতিক মহলের ধারনা 'মরাঠি অস্মিতা'কে হাতিয়ার করে ফের এক হতে পারে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা গোষ্ঠী।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির ইন্ধনে শিবসেনা ভেঙে গড়ে উঠেছিল শিবসেনা(শিন্ডে) । বিজেপির (BJP) সঙ্গে জোট গড়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়ে এবার শিন্ডে গোষ্ঠী পেয়েছে ৭ আসন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে থেকে ৯ আসন পেয়েছে শিবসেনা (উদ্ধব) (SHSUBT)। বিজেপিও পেয়েছে ৯ আসন। অন্যদিকে, শিবসেনার মতোই ভেঙে যাওয়া এনসিপি(শরদ) পেয়েছে ৭ আসন। অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (NCP) পেয়েছে মাত্র একটি আসন। ১৩টি আসন পেয়ে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উদ্ধবের সঙ্গে শত্রুতায় যেতে চাইছেন না শিন্ডে শিবিরের বহু নেতা। শিবির বদল করে জয়ী ৭ সাংসদ উদ্ধব শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। জানা যাচ্ছে, উদ্ধব গ্রিন সিগন্যাল দিতে শিন্ডের সঙ্গ ছাড়তে তৈরি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আসন কমতেই মোদি-শাহর ‘কর্তৃত্ব’ নিয়ে ক্ষোভ অন্দরে, অসন্তুষ্ট আরএসএসও!]
মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বাল ঠাকরের পুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দল ভাঙার যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছিল মারাঠাভূমে তা ভালোভাবে নেয়নি সেখানকার জনতা। শিন্ডে শিবিরের নেতারা বেশ বুঝতে পারছে এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভা ভোটে আরও খারাপ ফল হবে ভেঙে যাওয়া শিবসেনায়। যার জেরেই বেহাল বিজেপির ভরসায় শিন্ডের ছত্রছায়ায় থাকতে চাইছেন না শিবির বদলকারীরা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা পরিস্থিতি যে পথে যাচ্ছে মরাঠি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে ফের একজোট হতে পারে শিবসেনা। সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে বিজেপির অবস্থা আরও খারাপ হবে।
[আরও পড়ুন: শূন্য হাতে হতাশ সিপিএমের মনে হরেক প্রশ্ন]
অন্যদিকে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নেতা ভাঙিয়ে অজিত পাওয়া নিজেকে আসল এনসিপি বলে দাবি করলেও ভোটের ফলে তাঁদেরও বেহাল অবস্থাটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, মাত্র একটি আসন পেয়েছে অজিত পাওয়ারের এনসিপি। অন্যদিকে, এনসিপি(শরদ) পেয়েছে ৮ টি আসন।