সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে ফের একজোট বিরোধীরা। এমনকী যে তৃণমূল দেশে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য এতদিন রাহুল গান্ধীকে দায়ী করছিল, তারাও পুরোদমে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির পাশে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) টুইট করে রাহুলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। মমতার বক্তব্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্যতম বড় অবক্ষয়ের সাক্ষী থাকল দেশ।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পরই টুইটে মমতা বলেন,”প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) নতুন ভারতে বিরোধী নেতারা বিজেপির প্রধান টার্গেট। যেখানে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকা বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিরোধী নেতাদের স্রেফ ভাষণ দেওয়ার জন্য সাংসদ পদ বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আজ আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন অবক্ষয়ের সাক্ষী থাকলাম।” শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দেশে গণতন্ত্র যেন সোনার পাথর বাটি।”
[আরও পড়ুন: স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের গৃহবধূ অসম্মান করলে তা নিষ্ঠুরতা, মন্তব্য হাই কোর্টের]
সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের (Congress) নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এমনকী প্রকাশ্যে রাহুল গান্ধীর সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের মুখে। সেই তৃণমূলের এভাবে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে শুধু তৃণমূল নয়, প্রায় সব বিরোধী দলই কংগ্রেস নেতার পাশে। দিন কয়েক আগে বাংলায় এসে যে অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই অখিলেশও এদিন রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলছেন, বিরোধী কন্ঠরোধ করতে মরিয়া বিজেপি। এর আগে সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতার সদস্যপদও এভাবেই খারিজ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আবার বলছেন, “চোরকে চোর বলাটাও এখন এ দেশে অপরাধ হিসাবে গণ্য হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: দু’বছরের কারাদণ্ডের জের, খারিজ হয়ে গেল রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ]
কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলছেন, রাহুলকে সত্যি কথা বলার শাস্তি পেতে হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিকভাবে লড়বে কংগ্রেস। শুক্রবারই এআইসিসি (AICC) সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে থাকবেন সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরই আগামী দিনে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটা জানানো হবে।