সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে অবশেষে জট কাটল। ভোটের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখবন্ধ খাম জমা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের দাবি, কমিশন যে উপনির্বাচন করাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে, তা স্পষ্ট। কাজেই এনিয়ে মামলাটি এখন অপ্রাসঙ্গিক। কবে হবে মানিকতলার উপনির্বাচন? কমিশনের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ শিগগিরই প্রকাশ্যে আনা হবে বলে খবর।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাসের মধ্যেই মৃত্যু হয় মানিকতলার (Maniktala)বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। ১৯৫১ সালের আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধির মৃত্যু বা ইস্তফার কারণে কোনও আসনে শূন্যতা তৈরি হলে ছমাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন (By-Election) করতে হয়। সেই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু মানিকতলার ক্ষেত্রে তা করা যায়নি। নেপথ্যে বিজেপিকে দায়ী করেছে শাসক শিবির। সেবার বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে পদ্মশিবিরের প্রার্থী ছিলেন কল্যাণ চৌবে। নির্বাচনের পরপরই তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)মামলা করেন। শুনানি চলাকালীন বার বার মুলতুবির দাবি করেন তাঁর আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: সমস্ত এক্সিট পোলের উলটো আভাস, AI-এর সমীক্ষায় ব্যাকফুটে বিজেপি!]
এর পর বিষয়টি শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) দোরগোড়ায় পৌঁছয়। সেখানে কমিশনকে যথেষ্ট ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন এত গড়িমসি? যেখানে চব্বিশের লোকসভা ভোটের সঙ্গে বরানগর ও ভগবানগোলা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেখানে মানিকতলায় কেন ভোট নেওয়া হচ্ছে না? এসব প্রশ্ন তোলে বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। কমিশন ও মামলাকারীদের তরফে হলফনামা চায় শীর্ষ আদালত। দুমাসের মধ্যে উপনির্বাচনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। মামলাকারীর আবেদন ছিল, ৩০ জুনের মধ্যে উপনির্বাচন হলে ভালো হয়। সেইমতো কমিশন গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টের মুখবন্ধ খামে মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রস্তাবিত দিনক্ষণ জানিয়েছে। এদিন বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন জানান, কমিশনের সক্রিয়তা সন্তোষজনক। এই মামলার আর ভিত্তি নেই। তাই তা খারিজ করে দেওয়া হল।