সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা স্বীকারই করতে চাইছে না বাংলাদেশ সরকার! বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি আরও ধামাচাপা দিয়ে, লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে মহম্মদ ইউনুসের সরকারের তরফে। বুধবার সংসদীয় কমিটির কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরল বিদেশমন্ত্রক।

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করা হয়। সেখানেই বাংলাদেশ নিয়ে একাধিক ইস্যু তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রক। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়টি মানতেই চাইছে না বাংলাদেশ সরকার। বরং গণতান্ত্রিক পরিসরে ধর্মীয় নানা বিষয় ঢুকে পড়ছে। আর রাজনৈতিক শূন্যস্থানকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে খিলাফত তৈরির পরিকল্পনা চালাচ্ছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি।
কমিটির কাছে আলাদা করে বক্তব্য পেশ করেছেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রিও। আগামী দিনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেমন হবে এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের উপরে তা কেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করবে, সেই নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। সঙ্গে আরও জানান, বাংলাদেশের অন্দরে যে ক্রমাগত অশান্তি চলছে তা মেনে নিয়েছেন সেদেশের সেনাপ্রধান। সম্পত্তি নষ্ট, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার উল্লেখও রয়েছে সেই অশান্তির তালিকায়।
বিদেশমন্ত্রকের কথায়, সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট নস্যাৎ করে দিয়েছে ইউনুস সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মতে, সংখ্যালঘু নির্যাতনকে অযথা ফুলিয়েফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এছাড়া যেসমস্ত খুনের ঘটনা ঘটছে সেগুলি আসলে রাজনৈতিক হত্যা। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনাগুলি নিয়ে ভারত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কারণ বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়তে পারে ভারতের নিরাপত্তার উপরেও। সীমান্তে সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সদ্ভাব রাখা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। সেদিন পড়শি দেশের সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনুসকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউনুসকে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও ভারতের অবদান স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। আর সেদিনই বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনাল বিদেশমন্ত্রক।