সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৯-এর কারগিল যুদ্ধে ভারতের জয়ের অন্যতম বড় হাতিয়ার ছিল এই মিগ যুদ্ধ বিমানগুলি। সেসময়ের নিরিখে মিগ বিমানগুলিই ছিল আধুনিকতায় ভরপুর। আকাশপথে পাকিস্তানকে ভারত টেক্কা দিয়েছিল মিগের ভরসাতেই। কিন্তু সে সময় এখন অতীত। ২০ বছর ধরে আধুনিকতার অভাবে ধুঁকছিল মিগ বিমানগুলি। প্রায়শই মাঝ আকাশে মিগ বিমানগুলির ভেঙে পড়ার খবর মিলতো। এবার হয়তো সেই দিন বদলাতে চলেছে। মান্ধাতার আমলের সেই মিগের যুগ শেষ।বেশ কিছুদিন ধরেই মিগ ২৯ আধুনিকিকরণের কাজ করছিল বায়ুসেনা। এবার সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে নতুন রূপে সেনার হাতে আসতে চলছে এই যুদ্ধবিমানটি।
[পর্যাপ্ত নয় সরকারি সরবরাহ, চিনা রেশনে পেট ভরছে ৭ ভারতীয় গ্রামের]
মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও নিঁখুত। রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি তেল ভরার প্রযুক্তি এখন বায়ুসেনার হাতে। এ ছাড়া মিগ-২৯ এখন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ। বিমানবাহিনীর অন্যতম অস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হওয়ায় ভারতের আকাশ এখন আগের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত। সোমবার বায়ুসেনা দিবস। তাঁর ঠিক আগে নতুন উপহার পেয়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনা। নতুন বলে বলীয়ান মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানগুলির আপাত ঠিকানা জলন্ধরের আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই।
[আর্থিক জটে এস-৪০০ চুক্তি, মার্কিন ভ্রুকুটিতে ঘনিয়েছে মেঘ]
শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে৷ এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুপক্ষের পরমাণু বোমা বহনকারী যুদ্ধবিমান, স্টেলথ ফাইটার জেট, গোয়েন্দা বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন শুধু শনাক্তই করতে পারে না, ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় সেগুলো ধ্বংসও করতে পারে। এ ধরনের অস্ত্র যুক্ত হলে ভারতের সামরিক বাহিনী আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এস-৪০০ ‘ট্রায়াম্ফ’ ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থাটি ৪০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম৷ একইসঙ্গে তিন ডজন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংসও করতে পারবে৷ এস-৪০০ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী মিগ-২৯ ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দিল।
The post বায়ুসেনার শক্তি বাড়িয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আরও ঘাতক মিগ ২৯ appeared first on Sangbad Pratidin.