সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় থানায় ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী এক নাবালিকা৷ তিলক বিহার থানার এই ঘটনায় হতবাক গোটা রাজধানী৷ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নাবালিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে আদতে পুলিশি উদাসীনতা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
[ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি, কর্ণাটকে প্রাণ গেল Google-এ কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারের]
নাবালিকার মায়ের দাবি, তাঁদেরই এক প্রতিবেশীর আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকত তাঁর মেয়ে৷ নিজের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েকে চাপ দিত ওই প্রতিবেশী৷ কিন্তু ওই নাবালিকা প্রতিবেশীর ছেলেকে পছন্দ করত না বলেই দাবি তার মায়ের৷ এমনকী নাবালিকা হওয়ায় মেয়ের বিয়ে দিতে নারাজ ছিলেন তিনি৷ কিন্তু প্রতিবেশী নাছোড়বান্দা৷ ছেলের সঙ্গে নাবালিকাকে বিয়ের জন্য ক্রমাগতই চাপ দিতে থাকে ওই প্রতিবেশী৷ শনিবার সন্ধেবেলায় প্রথমে নাবালিকার বাড়িতে আসে ওই প্রতিবেশী৷ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ নাবালিকার মায়ের৷ নাবালিকার মায়ের দাবি, তাঁকে ঘরে তালাবন্দি করে রেখেই মেয়েকে অপহরণ করে প্রতিবেশী৷
[গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরের মধ্যে পুড়িয়ে মারল ৫ যুবক, প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন]
এরপরই তিলক বিহার থানা থেকে নাবালিকার মায়ের কাছে ফোন যায়৷ অন্যান্য প্রতিবেশীদের চেষ্টায় ঘর থেকে বেরোন তিনি৷ ছুটে যান থানায়৷ থানায় গিয়ে অবাক হয়ে যান নাবালিকার মা৷ তিনি দেখেন, থানারই একটি ঘরের সিলিং থেকে তার মেয়ের দেহ ঝুলছে৷ অন্য একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে তাঁর তিন ছেলেকেও৷
[বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ বিএসএফ জওয়ানের, অপমানে আত্মঘাতী নির্যাতিতা]
পুলিশের দাবি, শনিবার রাত দুটো নাগাদ ওই নাবালিকা তিলক বিহার থানায় যায়৷ বাড়ি ফিরে যেতে চায় না বলেও পুলিশকে জানায় সে৷ নাবালিকার কথা শুনে তার মা ও প্রতিবেশীকে থানা থেকে ফোন করা হয়৷ থানায় পৌঁছায় দুটি পরিবার৷ পুলিশের সামনেই ঝগড়াঝাটি শুরু করে তারা৷ নাবালিকা বাড়ি যেতে রাজি না হওয়ায় হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্তও নেয় পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই থানার একটি ফাঁকা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই নাবালিকা৷ এরই দরজা খুলে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়৷
[আবুধাবিতে কেরলের যুবকের রহস্যমৃত্যু, শোকস্তব্ধ পরিবারে এল অপরিচিতের দেহ]
নাবালিকার মায়ের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রতিবেশীদেরও৷