সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে সি-২৯৫ (C-295) বিমান তৈরির কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভদোদরায় এই বিমান তৈরির কারখানায় প্লেন বানাবে টাটা ও এয়ারবাস।সি-২৯৫ ভারতীয় বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ বিমান, যা মূলত পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হয়। এই প্রথমবার ভারতের মাটিতে বিমান তৈরি করতে চলেছে কোনও বেসরকারি সংস্থা। এই পদক্ষেপকে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান উদ্যোগ বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সব মিলিয়ে ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ১৬টি বিমান সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত করে ভারতে পাঠানো হবে। স্পেনের মাটিতে এই বিমান তৈরি করবে টাটা ও এয়ারবাস। তারপরে ৪০টি বিমান সম্পূর্ণ ভাবে দেশের মাটিতেই তৈরি করা হবে। এই বিমান তৈরির যন্ত্রাংশের মধ্যে ৯৬ শতাংশই ভারতে উৎপাদিত হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই ৪০টি বিমান তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দেশে বেড়েই চলেছে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা! NCPCR-এর নয়া রিপোর্টে আশঙ্কা]
রবিবার গুজরাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেন, “প্রথমবার কোনও বেসরকারি সংস্থা ভারতের মাটিতে বিমান তৈরি করতে চলেছে। প্রতিরক্ষা বিভাগ-সহ গোটা দেশের কাছেই এটা অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। এটা শুধুমাত্র একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন নয়। প্রতিরক্ষা বিভাগের আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার পথে একটা মাইলস্টোন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হলেও আন্তর্জাতিক মানের বিমান বানানো হবে এই কারখানাতে।”
কারখানার উদ্বোধন করতে গিয়ে মোদি বলেছেন, বিমান আর প্রতিরক্ষা বিভাগের হাত ধরেই আগামী দিনে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে ভারত। মোদির মতে, “আগামী দিনে, আত্মনির্ভর ভারতের দু’টি প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠবে প্রতিরক্ষা ও বিমান পরিষেবা। মূলত সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য এই সি-২৯৫ বিমানগুলি ব্যবহার করা হবে। ভারতে তৈরি এই বিমানগুলি শুধুমাত্র আমাদের সেনার মনোবল বাড়াবে তাই নয়, বিমান তৈরির ক্ষেত্রে নতুন সূচনা করবে। আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রায় ২ হাজার বিমানের দরকার পড়বে। সেই জন্য দেশের মাটিতেই বিমান বানাতে শুরু হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিমানের জোগান দিতে তৈরি ভারত।”