কাশ্মীরে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষে পদে এমফিলের পড়ুয়া, সতর্ক প্রশাসন

03:35 PM Nov 07, 2020 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিষবাষ্প কীভাবে কাশ্মীরের যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ভূস্বর্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা সইফুল্লা মীর নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম হওয়ার পর সেই দায়িত্ব নিল ৩১ বছরের এক যুবক। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনের একটি কলেজে এম ফিল পড়তে পড়তে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া ওই যুবকের নাম জুবির ওয়ানি (Zubair Wani)।

Advertisement

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার দেহরুনা (Dehruna) গ্রামের বাসিন্দা জুবির বাড়ির মধ্যে সবথেকে শিক্ষিত ছিল। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার মধ্যে থাকা ওই যুবক ২০১৮ সালে আচমকা হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দেয়। আর তারপর থেকেই আস্তে আস্তে জঙ্গিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে শুরু করে। অল্প কিছুদিনের ভূস্বর্গে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তার ত্রাস।

[আরও পড়ুন: বিদেশে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ, ফের ইডির নজরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে]

গত ১ নভেম্বর শ্রীনগরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় হিজবুল মুজাহিদিন (Hizbul Mujahideen) -এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার সইফুল্লা মীর। এরপরই তার জায়গায় আশরাখ খান নামে এক জঙ্গিকে কুখ্যাত ওই জঙ্গি সংগঠনের কাশ্মীর ইউনিটের শীর্ষ পদে বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আশরাফ খানকে শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদে না বসিয়ে তার জায়গায় জুবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

Advertising
Advertising

তাঁদের আরও দাবি, রিয়াজ নাইকু (Riyaz Naikoo) ‘র মতো জুবির ওয়ানিও শিক্ষিত হওয়ায় কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তার অনেক অনুগামী তৈরি হয়েছে। ফলে রিয়াজের মতো জুবিরও অনেক মেধাবী পড়ুয়াকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রভাবিত করতে পারে। তাই এখনও থেকেই এই বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

[আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতারণা! আইনি বিপাকে ‘বাবা কা ধাবা’র বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্যকারী ইউটিউবার]

Advertisement
Next