সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের উপর চাপ আরও বাড়াল রাজ্যসভার হাউস কমিটি। ইতিমধ্যেই ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িটি ফাঁকা করার জন্য মুকুলকে গোটা দুই নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্যসভা কর্তৃপক্ষ। মুকুলের ওই বাড়িটিই তাঁকে ভাড়া দেওয়ার জন্য তৃণমূলের যে দুই সাংসদ আবেদন করেছিলেন তাঁদের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাউস কমিটি।
এমনিতে মুকুল (Mukul Roy) এই মুহূর্তে সংসদের কোনও কক্ষের সদস্য নন। তাই সংসদের তরফে তাঁর নামে কোনও বাড়ি বরাদ্দও করা হয়নি। বিজেপিতে থাকাকালীন ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তিনি থাকতেন বিজেপির (BJP) রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর গেস্ট অ্যাকোমোডেশনে অর্থাৎ অতিথি হিসাবে। মুকুলবাবু ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা ভোট মেটার পর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। অন্তত তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলের উত্তরীয় গলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তারপরই বাড়িটি ছাড়ার জন্য তার উপর চাপ আসতে শুরু করে কেন্দ্রের তরফে। গত ১৯ জুলাই স্বপন দাশগুপ্তকে (Swapan Dasgupta) চিঠি দেয় সংসদের আবাসন কমিটি। অর্থাৎ, পরোক্ষে মুকুলের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয় বাড়িটি দ্রুত ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। সূত্রের খবর, এরপর গত ২৬ জুলাই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে বাড়ি খালি করে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় নোটিসটি দিয়েছে রাজ্যসভার আবাসন কমিটি।
[আরও পড়ুন: COVID-19: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলির অর্থসংকট মেটাতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের]
মুকুল রায় দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িটিতে আছেন। তাই তাঁকে যাতে বাড়িটি ছাড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল পালটা কৌশল নেয়। ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের যে বাড়িটিতে মুকুল থাকেন, সেটি প্রথমে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে (Dola Sen) দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। রাজ্যসভার হাউস কমিটি সেটি প্রত্যাখ্যান করে। এরপর তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ও একইভাবে বাড়িটি পাওয়ার জন্য আবেদন জানান। কিন্তু রাজ্যসভার আবাসন কমিটি সেই আবেদনও খারিজ করে দেয়। যার ফলে ওই বাড়িটি ছেড়ে দেওয়া ছাড়া মুকুলের কাছে আর কোনও উপায় নেই বলেই দাবি কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের।