সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের বঞ্চনা। অবহেলা, চোখের জল মুছে ফেলে এবার এগিয়ে যাওয়ার পালা। মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। এই ছয় মাস দেশে নিষিদ্ধ তিন তালাক। ঐতিহাসিক এই রায়কে মহিলা সমাজের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে নারীসমাজ। মিষ্টিমুখে তাই আনন্দের উদযাপন।
[ দেশ থেকে কার্যত উঠে গেল তিন তালাক, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের ]
তিন তালাক নিয়ে রায়দানের ক্ষেত্রে পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেছিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চে ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের বিচারক। কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব যাতে না হয়, সে কারণেই ছিল এই ব্যবস্থা। এই বেঞ্চের তিনজনক বিচারকই তিন তালাকের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। ফলে অসাংবিধানিক বিবেচিত হয়েছে তিন তালাক। তারই উদযাপন লখনউতে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম ওমেনস পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সভাপতি শায়িস্তা আম্বের মিষ্টি খাওয়ান স্থানীয় মহিলাদের। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। তিন তালাক নিষিদ্ধ হওয়ার পথে একধাপ এগনো গেলই বলে মনে করছেন তিনি।
একই মত শায়রা বানোরও। তিন তালাক প্রথার শিকার তিনিও। আজকের রায় ঘোষণার পর স্বভাবতই খুশির ঝিলিক তাঁর চোখে-মুখে। তাঁর বক্তব্য, ‘মুসলমান মহিলাদের জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন। মুসলিম সমাজে মহিলাদের অবস্থানকে এতদিন স্বীকৃতি দেওয়া হল।’ রায়কে সমর্থন করে তিনি জানান, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই রায়কে কার্যকর করে যেন নতুন আইন আনা হয়।’
এই জয় শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, সমগ্র নারীসমাজের ক্ষেত্রেও ঐতিহাসিক বলে জানালেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেক গান্ধীর। এদিন রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মানেকা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ছোট্ট পদক্ষেপ। কিন্তু মহিলা সমাজের জন্য এ এক বিরাট পদক্ষেপ।’ সাংবিধানিক এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত মন্ত্রীর।
The post মিষ্টিমুখে উদযাপন, ঐতিহাসিক রায়ে খুশির হাওয়া appeared first on Sangbad Pratidin.