সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবার সোজা রাহুল গান্ধীর ইয়ং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস সিল করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, বুধবার বিকাল থেকে ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের (Congress) সদর দপ্তর এবং ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাড়ির সামনেও বিপুল পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ।
প্রথমে খবর রটে ইডি (ED) বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে গোটা ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসটাই সিল করে দিয়েছে ইডি। কিন্তু পরে ইডির তরফে জানানো হয়, গোটা ন্যাশনাল হেরাল্ডের দপ্তর সিল করা হয়নি। শুধু হেরাল্ড বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) যে দপ্তর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দু’দিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দপ্তরে সংস্থার পদাধিকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তল্লাশিও চালানো যায়নি। সেকারণেই সিল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি ভোটে বিরোধী প্রার্থী আলভাকে সমর্থন AAP, JMM-এর, ধনকড়ের পাশে মায়াবতী]
ইডি সূত্রের দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং সিল তুলে দেওয়া হবে। বলে রাখা দরকার, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল এই ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সোনিয়া গান্ধীরা (Sonia Gandhi)। রাহুল এই সংস্থার সিংহভাগের অংশীদার।
[আরও পড়ুন: বিধায়কদের গাড়িতে টাকা উদ্ধারের তদন্ত: দিল্লির পর এবার অসমে বাধা বাংলার CID দলকে]
এদিকে ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করার পাশাপাশি এদিন বিকাল থেকে কংগ্রেসের সদর দপ্তর এবং সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি সরকার তাঁদের গোটা দলকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। কোনওরকম দলীয় কাজকর্ম করতে দেওয়া হচ্ছে না।