নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সেই কেরলের পথ ধরেই ভারতে কোভিড (Covid) আতঙ্ক! গত কয়েক মাস ধরেই সেখানে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এর মধ্যেই তিরুবন্তপুরম জেলায় ৭৯ বছর বয়সি এক মহিলার দেহে মিলেছে করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1। এই অবস্থায় বর্ষবরণের মুখে রাজ্যগুলিকে নোটিস পাঠিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, করোনো নিয়ে নজরদারিতে কোনও রকম ঢিলে দেওয়া চলবে না। সেক্ষেত্র বাড়তে পারে বিপদ।
নিশ্চিন্তে নিউ ইয়ার উদযাপনের জো নেই। চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি কেরলে। সেখানে নভেম্বর মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭০ জন। ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮২৫-তে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রামিত হয়েছে। সব মিলিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্র। বিশেষত দক্ষিণের রাজ্যে ভাইরাসের জেএন.১ প্রজাতি মেলায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় সবকটি রাজ্য সাবধান করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সুভাষ পন্থ।
[আরও পড়ুন: ‘নির্দেশ মানার ইচ্ছা আছে?’, সিবিআইয়ের অভিযোগে মুখ্যসচিবকে তোপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
রাজ্যগুলিকে সতর্ক বার্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, উৎসবের মরসুমে সংক্রমণের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে রাজ্যগুলিকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার উপর নজরদারি চালাতে হবে এবং দৈনিক রিপোর্ট করতে হবে। আরটি-পিসিআর এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সব রকম স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর। এইসঙ্গে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচার চালানোর নির্দেশ।
[আরও পড়ুন: রাবিশ বোঝাই গাড়ি রুখলেন খোদ ফিরহাদ, জলাশয় ভরাট রুখতে পুলিশকে ব্যবস্থার নির্দেশ]
গতকালই কেরল স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছে, যাঁদের সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, লো ব্লাড প্রেসার, খেতে সমস্যা হচ্ছে, তাঁরা দ্রুত চিকিৎসককে দেখাবেন। কোভিড মনে হলেই রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। যাতে করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোভিডের থেকেও দূষণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও স্বস্তির কথা হল, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নগণ্য।