সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার নীরব কেন? গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহলে। সেই আবহে এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক। তারা জানাল, যে ভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হচ্ছে, তা ভীষণই উদ্বেগের। বাংলাদেশে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে ছড়িয়ে পড়া অশান্তির আবহে ময়মনসিংহের দীপু দাস হত্যার বিচার চেয়ে আগেই বিবৃতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। শুক্রবার সে বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক আবার বলল, "হিন্দু যুবক খুনের ঘটনার নিন্দা করছি। ভারত চাইছে, দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হোক।"
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রায় ২,৯০০টি ঘটনা নথিভুক্ত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল বলেন, "আমরা এ ব্যাপারে আগেই বিবৃতি দিয়েছি। বাংলাদেশ যে বিকৃত ভাষ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা-ও খারিজ করা হয়েছে।" সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়টি আর উপেক্ষা করা যায় না বলেও জানিয়েছে মোদি সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগের বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারত। সংখ্যালঘুদের উপরে যে ভাবে হামলা করা হচ্ছে, সে নিয়ে ভারতীয় আধিকারিকেরা বাংলাদেশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। দীপুকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে, ভারত তার বিচার চায়। জায়সওয়াল বলেছিলেন, "বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নিবিড় ভাবে নজর রেখেছে ভারত। সে দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আধিকারিকেরা যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন— তা তাঁদের জানানো হয়েছে। দীপুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভারত সেই আবেদন জানিয়েছে।"
