সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সালের হায়দরাবাদ বিস্ফোরণ মামলার রায়দান স্থগিত করল এনআইএ-র বিশেষ আদালত৷ ২০০৭ সালের হায়দরাবাদের গোকুল চাট ও লুম্বিনি পার্কে জোড়া বিস্ফোরণ হয়৷ ঘটনার প্রায় এগারো বছর পর সেই মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল আজ, সোমবার৷ কিন্তু এদিন আদালতে রায়দান স্থগিত হয়ে যায়৷ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার রায়দান স্থগিত করে দিয়েছে এনআইএ-র বিশেষ আদালত৷
[কাশ্মীরে বড় সাফল্য সেনার, গ্রেপ্তার সদ্য জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানো চার যুবক]
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট৷ জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হায়দরাবাদের গোকুল চাট ও লুম্বিনি পার্ক এলাকা৷ বিস্ফোরণে ৪২ জন প্রাণ হারান৷ বিস্ফোরণে জখম হন অন্তত ৬০ জন৷ তেলেঙ্গানা পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইং বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করে৷ তিনটি চার্জশিটও ফাইল করা হয়৷ চার্জশিটে নাম থাকা বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক৷ প্রায় বছর চারেক ধরে শুনানি চলার পর এই ঘটনায় চারজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গির যোগসাজশের তথ্য সামনে আসে৷ ২০১৩ সালের আগস্টে হায়দরাবাদ আদালত শাফির সইদ, মহম্মদ সাদিক, আকবর ইসমাইল চৌধুরি ও আনসার আহমেদ বাদশা শেখকে মূল অভিযুক্তের তালিকায় আনা হয়৷ এরা প্রত্যেকেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য৷ আপাতত চেরলাপালি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই রয়েছে তারা৷ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনার এগারো বছর পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা ছিল৷ কিন্তু এদিন রায়দান পিছিয়ে দেন বিচারক৷ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এনআইএ-র বিশেষ আদালত মামলার রায়দান স্থগিত করে দেয়৷
[বাড়ছে আল কায়দায় নাম লেখানোর হিড়িক, অশনিসংকেত কাশ্মীরে]
জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ওই চার ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গির কঠোর শাস্তির দাবি জানান জখম ও নিহতদের পরিজনেরা৷ বিস্ফোরণে জখম রহিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘জোড়া বিস্ফোরণে অভিযুক্তরা কঠোর শাস্তি পাবে, বহু নেতামন্ত্রীরাই আমাদের এই আশ্বাস দিয়েছেন৷ তা সত্ত্বেও এই মামলার রায়ের জন্য আমাদের ১১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ আশা করি, জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ওই চারজনকে কঠোর সাজা দেবে এনআইএ-র বিশেষ আদালত৷
The post হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় রায়দান স্থগিত বিশেষ আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.