সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের অধিবেশনে কংগ্রেসকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিন নিজের বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, বারবার সংশোধনী এনে সংবিধানকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। নির্মলা বলেন, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলেও সংবিধানের অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কবি ও গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী এবং অভিনেতা বলরাজ সাহানির গ্রেপ্তারির কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
১৯৫১-র সংবিধান সংশোধনী নিয়ে নেহরুকে তোপ দাগেন নির্মলা। বলেন, বাকস্বাধীনতা খর্ব করতেই সংশোধনী এনেছিল নেহরু সরকার। সংবাদমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা রুখতেই এই পদক্ষেপের চেষ্টা হয়। এর আগে বারবার সংবিধান সংশোধনী নিয়ে লোকসভার বিতর্কে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
এদিন রাজ্যসভায় নিজের ভাষণে ১৯৪৯ সালে কবি ও গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী এবং অভিনেতা বলরাজ সাহানির গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ টানেন নির্মলা সীতারমণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, "শ্রমিকদের সভায় মজরুহ সুলতানপুরী একটি কবিতা পড়েছিলেন, জওহরলাল নেহরুর বিরোধিতা করে। সেই কারণে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় অভিনেতা বলরাজ সাহানির সঙ্গে জেলবন্দি ছিলেন। এটাই ছিল সহিষ্ণুতার হাল আর আজকে হাতে সংবিধান নিয়ে বলা হচ্ছে, দেশে বাকস্বাধীনতা বিপন্ন!"
নির্মলা অভিযোগ করেন, কংগ্রেস আমলে একধিক বই ও সিনেমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেহেতু গ্রন্থগুলিতে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের সমালোচনা করা হয়েছিল। যেমন, মাইকেল এডোয়ার্ড লিখিত 'নেহরু: এ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি', ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি 'কিস্সা কুর্সি কা'। নির্মলা অভিযোগ করেন, 'কিস্সা কুর্সি কা' নিষিদ্ধ হয় যেহেতু ইন্দিরা গান্ধী এবং তাঁর ছেলে, তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সলমান রুশদির গ্রন্থ 'স্যাটানিক ভার্সেস' ভারতে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ টেনেও কংগ্রেস আমলে বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্মলা।