সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণের আগে তাঁকে প্রণাম করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে তাঁকে বিরোধীদের খোঁচার মুখেও পড়তে হয়েছিল। ভোটের আগে এক জনসভাতেও একই কাজ তিনি করেছিলেন। সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি হল বুধবার। ফের মোদিকে প্রণাম করতে গেলেন তিনি। যা দেখে দ্রুত তাঁকে নিবৃত্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। করমর্দন করলেন জেডিইউ নেতার সঙ্গে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভরা মঞ্চে একসঙ্গে বসে রয়েছেন মোদি ও আরও অনেকে। আচমকাই মঞ্চে প্রবেশ করেন নীতীশ কুমার। দ্রুত এগিয়ে এসে তিনি স্পর্শ করতে যান প্রধানমন্ত্রীর পা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাত ধরে ফেলেন মোদি। পরিবর্তে করমর্দন করেন।
এই প্রথম নয়। এর আগেও এই বছর এমন দৃশ্য দুবার দেখা গিয়েছে। গত জুন ও এপ্রিলে। জুনের প্রণামের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তাঁকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ”মানুষ আমার কাছে জানতে চায় কেন আমি নীতীশ কুমারের সমালোচনা করি, যেখানে আমি অতীতে ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। উনি আসলে তখন একেবারেই একদম অন্য একটা মানুষ ছিলেন। নিজের আত্মাকে বিক্রি করতে চাননি। একজন রাজ্যের প্রধানের জন্য মানুষ গর্বিত হয়। কিন্তু নীতীশ কুমার বিহারকে লজ্জিত করেছেন মোদির পা ছুঁয়ে।” সেই সঙ্গে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ''উনি চান মোদির পা ধরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে।''
গত এপ্রিলে বিহারে এক জনসভায় তাঁদের একই মঞ্চে দেখা যায়। পাশে বসে থাকা মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তা নিয়ে সেই সময়ও চর্চা হয়েছিল। মজার বিষয়, মোদি ও নীতীশের বয়স প্রায় সমান। প্রধানমন্ত্রীর যেখানে বয়স ৭৪, সেখানে নীতীশের বয়স ৭৩। তবে নীতীশের এহেন প্রণাম-প্রীতি কেবল মোদির ক্ষেত্রেই নয়, অন্য ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি চিত্রগুপ্ত পুজো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রবীণ বিজেপি নেতা আর কে সিংয়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন নীতীশ। এর পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দেন বর্ষীয়ান আর জে ডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। বলেন, “মানুষের পায়ে ধরাই তো ওর স্বভাব।”