সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘২৯৪টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী।’ এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একাধিকবার একথা বলতে শোনা গিয়েছে। এবার অনেকটা মমতার ধাঁচেই হিমাচল প্রদেশে দাঁড়িয়ে নিজের জন্য ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সাফ বলে দিলেন, ‘প্রার্থী কে সেটা দেখার দরকার নেই। পদ্মে ভোট দিন। পদ্মে ভোট দেওয়া মানেই মোদিকে ভোট দেওয়া।’
আসলে হিমাচল-বিজেপিতে (BJP) একাধিক বিতর্ক সামনে আসায় কিছু দিন ধরেই চাপে ছিল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের (Jairam Thakur) বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা অভিযোগ উঠছিল। পাঁচ বারের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে দলের মধ্যেই একটা ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। এ দিন ভোট প্রচারে সেই ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করলেন মোদি। নিজের স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে সব ক্ষোভ-বিক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। হিমাচলের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ভোটারদের অনেকাংশে ক্ষোভ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি এখনও সেরাজ্যে উজ্বল। তাই এবারের ভোট বৈতরণী পার হতে নিজের নামেই বাজি ধরছেন মোদি।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের মঞ্চে মিলল জীবনসঙ্গী! SSC ধরনা মঞ্চ থেকে বিয়ের পিড়িতে খুকুমণি-মিঠুন]
শনিবাসরীয় প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, কে প্রার্থী হচ্ছেন, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা তিনি বিজেপির প্রতীকে লড়াই করছেন। শনিবার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,”মনে রাখবেন বিজেপির প্রার্থী কে মনে রাখার দরকার নেই। শুধু মনে রাখবেন পদ্ম প্রতীকের কথা। কারণ এই পদ্মফুল আমি আপনাদের জন্য এনেছি। পদ্মে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। মোদিকে ভোট দেওয়া। দিল্লিতে মোদি থাকলে এখানেও মোদির হাত শক্ত করা উচিত তো নাকি!” এর পরই দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসকে (Congress) নিশানা করেন মোদি। তাঁর কথায়, যারা আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছেন, তারাই দুর্নীতিতে সব থেকে বেশি জড়িত। তাই কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন দেশের মানুষ।
[আরও পড়ুন: বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলেই দুর্ঘটনা, সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুতে অভিযুক্ত চিকিৎসক চালক]
আগামী ১২ নভেম্বর হিমাচলে ভোট। সেই নির্বাচনই হিমাচলের উন্নয়নের রূপরেখা ঠিক করবে।” কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে মোদি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের পক্ষে সব থেকে বড় বাধা কংগ্রেস। দেশের স্বাধীনতার পর এতদিন ক্ষমতায় থাকলেও উন্নয়নের পক্ষে বিন্দুমাত্র কোনও কাজ করেনি। বিজেপি হাত ধরেই আজ শুধু হিমাচল নয়, উন্নয়ন দেখছে গোটা দেশ। দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ছাড়া কংগ্রেসের আর কোনও ভূমিকা নেই।