সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজব দেশ। কোটি টাকায় জমকালো মন্দির, মসজিদ নির্মাণ হয়। নেতা-মন্ত্রীদের বিলাসবহুল সরকারি বাসভবন গড়া হয়। অথচ হাসপাতালে স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ারটুকু থাকে না। এই অবস্থায় দুর্ঘটনায় পা ভাঙা নাবালক ছেলেকে স্কুটারে চাপিয়ে হাসপাতালের চার তলায় পৌঁছ দিলেন বাবা। সেখানেই চিকিৎসা হয় কিশোরের। হাসপাতালের লিফট সক্রিয় থাকায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কোটার (Kota) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, হুইলচেয়ার এবং স্ট্রেচারের অভাব রয়েছে তাদের।
দুর্ঘটনায় ছেলের পা ভেঙে গিয়েছিল। কোটার ওই হাসপাতালে দেখানোর পর প্লাস্টার করানো পরামর্শ দেন চিকিৎসক। প্লাস্টার করা হয় হাসপাতাল ভবনের তিন তলায়। এদিকে বিরাট চিকিৎসা কেন্দ্রে ছিল না একটিও হুইলচেয়ার বা স্ট্রেচার। জখম কিশোরের বাবার দাবি, ছেলেকে স্কুটারে বসিয়ে লিফটের মাধ্যমে চার তলায় ওঠার অনুমতি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। বাধ্য সেই কাজ করেনও তিনি। এদিকে স্কুটারে বসা বাবা-ছেলে হাসপাতালের লিফটে ঢুকছে এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: নৃশংস! পিসির বাড়ি ঘুরতে গিয়ে পিসতুতো ভাইদের হাতে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। নিরুপায় বাবাকে সমর্থন করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, “ওই পরিস্থিতিতে যেখানে হাসপাতালে উপযুক্ত পরিষেবা নেই, উনি ঠিক কাজ করেছেন। ছেলেকে ভগবানের নামে ফেল রাখতেন! কিশোরের পায়ে প্লাস্টার হওয়ার পর তাঁরা ফিরেও যান।” উল্লেখ্য, হাসপাতালের পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তিতে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা দাবি করেছে, হুইলচেয়ার এবং স্ট্রেচার কম আছে। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগির ব্যবস্থা হবে। তবে হাসপাতাল ভবনে স্কুটার ঢোকানোর অনুমতি দেননি তারা, এমনটাই দাবি করেছেন।