সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হতে হয়েছে রাজা রঘুবংশীকে। অভিযুক্ত স্ত্রী সোনম এবং তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহ। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশী। তাঁর দাবি, সোনম ও রাজের মধ্যে মোটেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
ঠিক কী বলেছেন গোবিন্দ? তাঁর কথায়, ''সোনম ও রাজের মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্কই ছিল না। গত তিন বছর ধরে ও রাজকে রাখি পরিয়ে আসছে। রাজ আমাদের পরিবারের তত্ত্বাবধানে কাজ করত। সোনমের কাছে ও ছিল ছোটভাইয়ের মতো। রাজ ওকে দিদি বলেই ডাকত।'' সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, সোনম ওঁর মাকে কিছুই জানাননি এই বিষয়ে। গোবিন্দর মতে, ''আমরা এমন কিছু টের পেলে সেটা হতেই দিতাম না।''
তবে সোনমকে নিরপরাধ বলে মনে করেন না গোবিন্দ। তাঁর দাবি, ''আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ও খুনটা করেছে। সমস্ত প্রমাণই ওর অপরাধের পক্ষে। রাজ কুশাওয়াহর সঙ্গে প্রত্যেক অভিযুক্তের যোগ ছিল। সোনমের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আমাদের পরিবার। রাজার পরিবারের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।''
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা ও সোনম রঘুবংশী। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হন দম্পতি। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে মেঘালয় পুলিশ। ২৪ বছরের সোনম এবং তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করতে ২০ জন আধিকারিক একযোগে কাজে নামেন। সূত্রের খবর, গত ৩ জুন পুলিশ নাকি নিশ্চিত হয় যে এই হত্যাকাণ্ডে সোনমই জড়িত। ঠিক তার আগের দিন খাসি হিলসের জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাজার পচাগলা দেহ। তাঁর মাথায় ছিল আঘাতের চিহ্ন। সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করে সোনম। জিজ্ঞাসাবাদে বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় গ্রেপ্তার করা হয় তরুণীকে।
