সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উচ্চাশার বলি রাজস্থানের (Rajasthan) কোটায় (Kota)। এবার সেখানে আত্মঘাতী হলেন আইআইটিতে ভরতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এক পড়ুয়া। গত ২৮ জুন কোটায় ডাক্তারির প্রস্তুতি নেওয়া দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। এর ফলে গত দুই মাসে প্রত্যাশার চাপে বলি হলেন ১০ জন!
শনিবার পুলিশ ১৭ বছরের বাহাদুর সিং নামের পড়ুয়ার মৃত্যুসংবাদ জানায়। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের রামপুরে। একাদশ শ্রেণির ছাত্র বাহাদুর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। লক্ষ্য ছিল ভারতের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটিতে সুযোগ করে নেওয়া। সেই কারণেই কোটার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোচিং সেন্টারে ভরতি হয়েছিলেন। মাস দুয়েক আগেই কোটায় এসেছিল সে। এক বন্ধুর সঙ্গে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। কাজ থাকায় শুক্রবার বন্ধুটি ভাড়ার বাড়িতে ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁর কাঁধে অনেক দায়িত্ব’, অশোক গেহলটের বশ্যতা কি মেনে নিলেন শচীন পাইলট]
শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা ভিতর থেকে আটকানো। হাজার ডাকাডাকিতেও দরজা খোলেনি বাহাদুর। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। যদিও ঘরে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতনন্তে পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে যুবকের পরিবারকে।
কোটাতে ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা এই প্রথম নয়। একের পর এক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে, আর সেই সঙ্গেই কোটাতে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। কারণ একটাই, প্রতিযোগিতামূলক কঠিন পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়া। গত বছর ১৫ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হন এই শহরে। এ বছর মাত্র ছ’মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছুঁয়ে ফেলেছে।
[আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্য সুখবর! কমছে দূরপাল্লার ট্রেনের ভাড়া, তালিকায় বন্দে ভারতও]
কোটার কোচিং সেন্টারগুলির কথা মাথায় রেখে বিশেষ আইন আনার কথা ভাবছে রাজস্থান সরকার। পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে ভরতি হওয়ার আগেই একটি প্রবেশিকা পরীক্ষার কথাও ভাবা হচ্ছে। ওই পরীক্ষায় পরখ করা হবে, নির্দিষ্ট ছাত্রটি আদৌ পরবর্তী কঠিন পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে তৈরি কিনা।