সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আতঙ্ক বাড়িয়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের (African Swine Fever) সন্ধান মিলল কেরলে (Kerala)। জানা গিয়েছে, কেরলের দু’টি পশু খামারের শূকরের (Pigs) শরীরে মিলেছে আফ্রিকার সোয়াইন জ্বরের জীবাণু। অসুস্থ পশুদের পরীক্ষা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত করছে ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজ। মারণ ভাইরাস যেতে ছড়াতে না পারে তার জন্য দু’টি পশু খামারের ৩০০ শূকরকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ওয়ানাড় জেলার একটি খামারের বেশ কিছু শূকরের মৃত্যুর পরেই পরীক্ষার মাধ্যমে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের বিষয়ে নিশ্চিত হন পশু চিকিৎসকরা। এরপর দেখা যায় পাশের খামারের শূকরের শরীরেও জীবাণু ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে মিজোরাম, সিকিম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, বিহার ও অসমে আফ্রিকার সোয়াইন জ্বরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শূকরদের এই রোগের ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া এটি দ্রুত সংক্রামক। এখনও পর্যন্ত এই রোগের কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। যা চিন্তার অন্যতম কারণ।
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগে থেকেই বাড়িতে টাঙান জাতীয় পতাকা’, আরজি প্রধানমন্ত্রীর]
কেরল সরকারের পশুপালন বিভাগ আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের বিষয়টি জানার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। দপ্তরের আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে দু’টি খামারের ৩০০ শূকর নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই বিষয়ে অন্য যাবতীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে পশুপালন বিভাগ। ক’দিন আগেই অসমে খোঁজ মেলে আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরে আক্রান্ত শূকরের। ডিব্রুগড়ের ভোগালি পাথার গ্রামে একটি শূকরের শরীরে ওই ভাইরাসের সন্ধান পায় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর এলাকার চার পাশের প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটারকে সংক্রমিত পরিধি বলে ঘোষণা করা হয়। এবং চলে শূকর নিধন অভিযান। পশুগুলিকে হত্যা করে মাটির নীচে চাপা দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েই মমতাকে ‘দিদি’ সম্বোধন দ্রৌপদী মুর্মুর, কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেচ্ছাবার্তার জন্য]
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে এলাকার পশুর শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের সন্ধান মিলবে, শূকর নিধন ছাড়াও ওই এলাকার মানুষকে শূকরের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। অসমের মতো কেরলেও এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।