সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খুব শিগগির জাতীয় জনগণনা শুরু হবে। ওই সময় আদমশুমারির সঙ্গেই জাতি গণনাও হবে। বুধবার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লাগাতার জাতি গণনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা। বিশেষত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী বারবার এই দাবিতে সরব হয়েছেন। বিরোধীদের সেই দাবিকেই এবার মান্যতা দিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
পহেলগাঁও হামলার আবহে বুধবার মন্ত্রিসভার একাধিক কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক ছিল রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিরও। সেই বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "মন্ত্রিসভার রাজনীতি বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী জনগণনার অংশ হবে জাতি গণনা।" অর্থাৎ আদমশুমারির সময় মোট জনসংখ্যার মধ্যে কোন জাতির সংখ্যা কত, কোন সম্প্রদায়ের মধ্য়ে কত উপজাতি রয়েছে, তা গণনা করা হবে।
রাহুল গান্ধী জাতি গণনার কথা বারবার বললেও এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেন, "কংগ্রেস সরকার বরাবর জাতি গণনার বিরোধিতা ক'রে আসছে। ২০১০ সালে মনমোহন সিং বলেছিলেন জাতি গণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা উচিত। এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতি গণনা সুপারিশ করে। যদিও কংগ্রেস সরকার জাতি গণনা করায়নি, কেবল মাত্র জাতি সমীক্ষা করায়।"
অশ্বিনী দাবি করেন, "এটা স্পষ্ট যে কংগ্রেস এবং 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিকরা জাতি গণনাকে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কিছু রাজ্য জাতি সমীক্ষা চালাচ্ছে। কিছু রাজ্য কাজটা ভালোভাবেই করেছে। আবার কিছু রাজ্য কেবল রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অস্বচ্ছভাবে এই ধরনের জরিপ পরিচালনা করেছে।"
প্রসঙ্গত, শেষবার ২০১১ সালে ভারতে জনগণনা হয়েছিল। কোভিড এবং অন্যান্য জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরে নতুন করে জনগণনা হতে পারে। আগামী জনগণনা ডিজিটাল নির্ভর হবেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একমাত্র বিহার জাতি গণনা করেছে। তাতে উঠে এসেছে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশই অতি-অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ ২৭.১ শতাংশ, ১৯.৭ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৭ শতাংশ তফসিলি উপজাতি।
