shono
Advertisement

বিশ্বে এই প্রথম, ওলার ই-স্কুটার তৈরির সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকছে ১০ হাজার মহিলার হাতে

‘ভবিষ‌্যতের’ স্টিয়ারিং আত্মনির্ভর নারীদের হাতে।
Posted: 09:51 AM Sep 14, 2021Updated: 09:51 AM Sep 14, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভবিষ‌্যতের স্টিয়ারিং প্রমীলাদের হাতেই। বিশেষ করে বিদ্যুৎচালিত বাহনের।  কিছুদিন আগেই দেশের প্রথমসারির অ‌্যাপ-বেসড ক‌্যাব সংস্থা ওলা তাদের গাড়ির তালিকায় যুক্ত করেছে ইলেক্ট্রিক বাইক (Ola E-Scooter)। আর ইলেকট্রিক ফিউচার ফ্যাক্টরি নামের এই বাইক তৈরির কারখানার পুরো দায়িত্ব থাকছে দশ হাজার মহিলা কর্মীর উপর। যা সারা বিশ্বে এই প্রথম। 

Advertisement

বাহনের দুনিয়ায় ভবিষ‌্যৎ তো নিশ্চিতভাবেই বিদ্যুৎচালিত গাড়ি। কারণ মাটির তলার প্রাকৃতিক জ্বালানি দ্রুত কমে আসছে। পশ্চিমের বহু দেশ তাই বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরি এবং তার উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছে। ভারতও পিছিয়ে নেই। এবং পিছিয়ে নেই অ‌্যাপক‌্যাব সংস্থা ওলা। তাদের গাড়ির তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন এই ইলেক্ট্রিক বাইক।  সোমবার সংস্থার সিইও ভাভিশ আগরওয়াল বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম ‘অল উইমেন’ কারখানাটি তৈরি হবে তামিলনাড়ুতে। কারণ আত্মনির্ভর ভারতের চাই আত্মনির্ভর নারী।”

[আরও পড়ুন: নজরে তালিবান! প্রথমবার সশরীরে বৈঠক QUAD শীর্ষনেতাদের, হাজির থাকবেন মোদি, বাইডেন]

ই-স্কুটার তৈরির এই কারখানার প্রথম দফার প্রস্তুতি পর্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
গোটা দেশেই গত কয়েক সপ্তাহে জ্বালানির দাম একশো পার করেছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি যে ‘বেটার অল্টারনেটিভ’ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সে প্রসঙ্গে আগরওয়াল বলেন, “এই প্রথম ওলার তরফে আমরা এই রকম একটা উদ্যোগ নিলাম। এতে অনেক বেশি সংখ‌্যক মহিলার সামনে কাজের সুযোগ এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার একটা উপায় খুলে যাবে। সংস্থার তরফে মহিলাদের এর জন‌্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ব্যুৎপত্তি প্রয়োজন তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং ওলার ফিউচার ফ‌্যাক্টরিতে যা কিছু তৈরি হবে তার জন‌্য মহিলারাই দায়িত্ব পালন করবেন।”

ওলার প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, মহিলাদের সামনে আয়ের সুযোগ খুলে যাওয়ার মানে শুধু এটা নয় যে তাঁরা নিজেরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবেন, এতে তাঁদের পরিবার এবং সমাজেরও উন্নতি ঘটবে। প্রায় পাঁচশো একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এই কারখানায় প্রাথমিকভাবে বছরে দশ লক্ষ গাড়ির উৎপাদন হবে এবং পরে বাজারের চাহিদার সঙ্গে সাযুজ‌্য রেখে তা বাড়িয়ে বছরে ২০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ‌্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ওলার দাবি, গোটা কারখানাটি সক্রিয় হয়ে উঠলে বছরে এক কোটি পর্যন্ত উৎপাদন হতে পারবে সেখানে।

[আরও পড়ুন: Coronavirus: মিটবে বিদেশযাত্রার সমস্যা, চলতি সপ্তাহেই কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিতে পারে WHO!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement