সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের ‘ভোট চুরি’ প্রচারের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের কোনও সম্পর্ক নেই। সোমবার স্পষ্ট করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) নেতা ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোট কংগ্রেসের ‘ভোট চুরি’ কর্মসূচির অংশ নয়। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলে নিজস্ব অ্যাজেন্ডা বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কংগ্রেস এসআইআর এবং ভোট চুরিকে তাদের মূল ইস্যু হিসাবে তুলে ধরেছে, সেখানে অন্য দলগুলি নিজেদের মতো করে বিষয় নির্বাচন করবে। কে কী ইস্যু নেবে, তা নিয়ে অন্য দল হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি কংগ্রেস দিল্লিতে একটি বৃহৎ সমাবেশ করে ‘ভোট চুরি’ প্রচার আরও জোরদার করে। ওই কর্মসূচিতে কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে। যদিও নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। ওমর আবদুল্লার এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সপ্তাহখানেক আগে তিনিই ইন্ডিয়া জোটকে ‘লাইফ সাপোর্টে থাকা’ জোট বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর সেই বক্তব্য ঘিরে বিরোধী জোটের শরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন, আবার কেউ প্রকাশ্যে আপত্তি তোলেন।
দিল্লিতে হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে ওমর বলেছিলেন, মাঝেমধ্যে কেউ ডিফিব্রিলেটরের মতো ঝাঁকুনি দিয়ে জোটকে আবার সচল করার চেষ্টা করে, কিন্তু বিহারের মতো ফলাফল এলেই জোট ফের ধসে পড়ে এবং তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোটের একাধিক সিদ্ধান্তের ফলেই নীতীশ কুমার আবার এনডিএ-র দিকে ফিরে গিয়েছেন। পাশাপাশি, বিহারে আসন সমঝোতার সময় হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে যথাযথভাবে জায়গা না দেওয়ার ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ওমর আবদুল্লার এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন আরজেডি নেতা মনোজ ঝা। তিনি বলেন, যদি জোট লাইফ সাপোর্টে থাকে, তবে ওমরও তারই অংশ। জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সে প্রশ্নও তোলেন ঝা। সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা ইন্ডিয়া জোটের সব শরিক দলকে আত্মসমালোচনার আহ্বান জানান। বিরোধী জোটের এই অন্তর্দ্বন্দ্বে কটাক্ষের সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। দলের প্রবীণ নেতা শাহনাওয়াজ হুসেন বলেন, ওমর আবদুল্লা ভুল বলছেন। তাঁর মতে, ইন্ডিয়া জোট লাইফ সাপোর্টে নয়, বরং লোকসভা নির্বাচনের পরেই তার অস্তিত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এই জোটের না আছে কোনও নেতা, না আছে কোনও স্পষ্ট নীতি।
