নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালায় ভারত। পালটা প্রত্যাঘাত করে পাকিস্তানও। কিন্তু তার বেশিরভাগ প্রতিহত করা গেলেও জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চলে পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। মৃত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষেরও। এবার সেই স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে যাচ্ছে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার শাসকদলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একথা জানানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমূল হক, সাগরিকা ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আগামী দু'দিন অর্থাৎ ২৩মে পর্যন্ত তাঁরা সেখানে থাকবেন। ঘুরে দেখবেন বিভিন্ন এলাকা। পাশাপাশি, কথা বলবেন স্বজনহারা পরিবারগুলির সঙ্গেও। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জানিয়েছেন, সবার আগে দেশ। তাই দেশের স্বার্থে সবাইকে একজোট হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।
