সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে বিরোধী ঐক্য নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ফের একমঞ্চে দেখা গেল কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল-সহ ১৫টি বিরোধী দলকে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মতো বৃহস্পতিবারও সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসলেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। এদিন তাঁদের পাশে ধরনায় বসতে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী-সহ অন্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিদেরও।
তৃণমূল আগেই ঘোষণা করেছিল, সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দুই সাংসদ গান্ধীমূর্তির সামনে ধরনায় বসবে। গতকাল দেখা যায় শুধু তৃণমূল নয়, অন্য সাসপেন্ডেড সাংসদরাও একযোগে ধরনায় বসেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে অন্য সাংসদরাও ধরনায় যোগ দেন। বুধবারও বিরোধী শিবিরের সঙ্গে একযোগে ধরনায় দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদদের। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার খোদ রাহুল গান্ধী সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের ধরনায় যোগ দেন। ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury)।
[আরও পড়ুন: ‘কোন সরকারের আমলে গুজরাটে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল?’, CBSE’র প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক]
গতকালই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছিলেন। মমতার দাবি ছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলনই করছে না কংগ্রেস। নাম না করে রাহুলকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেত্রী বলে দিয়েছিলেন, বছরের অর্ধেক দিন বিদেশে থাকলে লড়াই করা যায় না। লড়াই করতে হয় মাঠে নেমে। তার ঠিক পরদিনই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে একমঞ্চে যেভাবে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে, যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের (TMC) সম্পর্ক নিয়ে যতই লেখালেখি হোক, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যে বিরোধীরা সমন্বয় সাধন করেই চলবে, তা এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিল দুই দল।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা বদলে গিয়েছে’, মমতার মডেলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা মুম্বইয়ের শিল্পপতিদের]
যদিও, বিরোধীদের যৌথ আন্দোলনেও সরকার অনড়। রাজ্যসভার (Rajya Sabha) চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ক্ষমা না চাইলে সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না। সাংসদদের সাসপেনশন অগণতান্ত্রিক নয়। বিরোধীদের আন্দোলন অগণতান্ত্রিক।