সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের একত্রিত করার কাজে প্রথম পর্যায়ে সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর নেতৃত্বেই এক ছাতার তলায় চলে এল ১৭টি বিরোধী দল। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই শরদ পওয়ার, অখিলেশ যাদব, মেহেবুবা মুফতির, মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতারা একজোট হয়ে গেলেন। মমতার ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়ে গেল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজোট হয়ে প্রার্থী দেবে বিরোধী শিবির।
এদিন মমতার ডাকা বৈঠকে কংগ্রেস (Congress) এবং বামেদের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন বৈঠকে। আম আদমি পার্টি, টিআরএস, অকালি দল, বিজেডি (BJD) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া প্রায় সব বিজেপি বিরোধী দলই এই বৈঠকে যোগ দেয়। সভাপতিত্ব করেছেন শরদ পওয়ার (Sharad Pawar)। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক শেষে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বিরোধীরা। যাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী দিতে চায়। এমন একজনকে প্রার্থী করতে চায় যিনি ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করবেন। এবং এই সরকার যাতে আর দেশের ক্ষতি করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘কুকুরের মতো মরবেন মোদি’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক, দায়ের FIR]
বৈঠক শেষে তৃণমূল (TMC) নেত্রী জানিয়েই দিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত সব দল একযোগে শরদ পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তবে, আগামী দিনে পওয়ারকে ফের প্রার্থী হওয়ার জন্য বোঝানো হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মমতা। শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হলে সব বিরোধী দল তাঁকে সমর্থন করবে। না হলে বিকল্প প্রার্থীর কথা ভাবা হবে।
[আরও পড়ুন: পবিত্র শহরে মদ বিক্রি বন্ধের দাবিতে দোকানে গোবর ছুঁড়লেন উমা ভারতী! ভিডিও ভাইরাল]
বস্তুত এদিনের বৈঠকে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল দিল্লিতে বিরোধী রাজনীতির মধ্যমণি এখন মমতাই। মমতার ডাকা বৈঠকে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল যেভাবে একত্রিত হল সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেত্রীর মুখে তাই সন্তোষের হাসিও ছিল লক্ষ্যণীয়। মমতা নিজেই বললেন, “আজকের বৈঠকে সবথেকে জরুরি বিষয় হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল এখানে এসেছে। মাত্র কয়েকটি দল আসেনি। তাঁদের নিশ্চয় কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল। সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই।” আগামী দিনে এই ধরনের বৈঠক যে আরও হবে, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।