shono
Advertisement
Maharashtra

'আমাদের ঝগড়ার চেয়ে মহারাষ্ট্রের স্বার্থ বড়', 'গৃহযুদ্ধ' শেষে পুনর্মিলনের বার্তা উদ্ধব-রাজের

২০০৫ সালে শিবসেনা ছেড়ে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গড়েন রাজ।
Published By: Kishore GhoshPosted: 05:12 PM Apr 19, 2025Updated: 08:01 PM Apr 19, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: "মহারাষ্ট্রের স্বার্থে" তুতো ভাই উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরের ঝগড়ার অবসান হতে চলেছে! ২০০৫ সালে শিব সেনা ছেড়ে আলাদা দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ। দুই দশক পর 'গৃহযুদ্ধে'র অবসান হতে চলেছে। এবার পুনর্মিলন! দুজনেই মারাঠা আবেগ ও সংস্কৃতির প্রশ্নে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

Advertisement

সম্প্রতি আলাদা আলাদা ভাবে শিব সেনা নেতা উদ্ধব এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার নেতা রাজ গৃহযুদ্ধ ভুলে ঘরের ফেরার বার্তা দিয়েছেন। উভয় নেতার কথায়, মহারাষ্ট্রের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক স্বার্থ তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঊর্ধ্বে। মহেশ মঞ্জেরেকরের পডকাস্ট চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে রাজ বলেন, "উদ্ধব ও আমার মধ্যের ঝগড়া গৌণ---মহারাষ্ট্র এর চেয়ে অনেক বড় বিষয়। আমাদের দূরত্বের জেরে মহারাষ্ট্র এবং মারাঠি জনগণকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে। এক হওয়া কঠিন হবে না। ইচ্ছে থাকলেই সম্ভব। এটা শুধু আমার ইচ্ছা বা স্বার্থের বিষয় নয়। আমাদের বৃহত্তর চিত্রের দিকে তাকাতে হবে। সমস্ত মারাঠি জনগণকে একত্রিত করে একটিই রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত।"

অন্যদিকে একটি জনসভায় প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, "আমি ছোটখাটো বিবাদ ভুলতে প্রস্তুত আছি। সমস্ত মারাঠি জনগণকে মহারাষ্ট্রের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। একটা শর্ত আছে -- যখন আমরা সংসদে বলেছিলাম যে (রাজ্যের) শিল্পগুলিকে গুজরাটে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, যদি আমরা তখন ঐক্যবদ্ধ থাকতাম, তাহলে আমরা এমন একটি সরকার গঠন করতে পারতাম যা মহারাষ্ট্রের জন্য কাজ করত। আমরা বারবার পক্ষ পরিবর্তন করে চলতে পারি না-- একদিন যাদের সমর্থন করব, পরদিন তাদের বিরোধিতা করব এবং এভাবে আপস করে চলতে পারে না।" একজোট হয়ে মহারাষ্ট্রের উন্নতিকল্পে কাজ করার বার্তা দেন শিব সেনা নেতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সম্প্রতি আলাদা আলাদা ভাবে উদ্ধব এবং রাজ ঘরের ফেরার বার্তা দিয়েছেন।
  • সমস্ত মারাঠি জনগণকে একত্রিত করে একটিই রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত, দাবি রাজের।
Advertisement