সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই লাগামছাড়া হয়ে পড়ছে জ্বালানিমূল্য। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ও ডিজেলের দাম (Petrol and diesel Prices)। আর তাতেই নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের। পেট্রলের পর রাজ্যে ইতিমধ্যেই ডিজেলের দামও সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। শুক্রবার পুরুলিয়ার ঝালদায় ডিজেল মূল্য দাঁড়ায় ১০০.১৪ টাকায়। পাশাপাশি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে ডিজেল। আর এবার কলকাতাতেও ডিজেলের দাম একশোর দোরগোড়ায়।
শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে দেশে লিটারপিছু পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৩৫ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে। যার ফলে এদিন কলকাতায় ৯৯-এর কোটায় পা রাখল ডিজেলের দাম। যা সর্বকালীন সর্বোচ্চ। কার্যত রুটিন মাফিকই এক লিটার পেট্রলের দাম বেড়ে হল ১০৭.৭৮ টাকা। অন্যদিকে এদিন এক লিটার ডিজেল কিনতে গুনতে হবে ৯৯.০৮ টাকা। যেভাবে নিয়মিত জ্বালানিমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে তিলোত্তমায় ডিজেলের সেঞ্চুরি হাঁকানো কেবল সময়ের অপেক্ষা।
[আরও পড়ুন: Tripura Civic Polls: নভেম্বরেই ত্রিপুরা পুরভোট, দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন]
কলকাতার পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে রাজধানী দিল্লি, বাণিজ্যনগরী মুম্বই, চেন্নাইতেও। এদিন দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেল কিনতে খরচ যথাক্রমে ১০৭.২৪ এবং ৯৫.৯৭ টাকা। মহারাষ্ট্রের রাজধানীতে পেট্রলের মূল্য রীতিমতো ভয় ধরানোর মতো। এক লিটার পেট্রল মিলছে ১১৩.১২ টাকার বিনিময়ে। লিটার পিছু ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা। এদিকে চেন্নাইয়ে এক লিটার পেট্রল ও ডিজেল কেনার খরচ বেড়ে হল ১০৪.২২ এবং ১০০.২৫ টাকা।
লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে ত্রাহি ত্রাহি রব দেশজুড়ে। প্রতিদিনই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে সম্প্রতি নতুন পথ নেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। টুইটারে লেখেন, ‘মোদি সরকারের জ্বালানি লুঠে একটি নতুন শব্দ তৈরি হয়েছে। ফিলিয়নেয়ার। যাঁরা দেশে ট্যাঙ্ক ভরতি করে তেল ভরতে পারছেন, তাঁরাই ফিলিয়নেয়ার। কেন্দ্র সরকার আমজনতার সঙ্গে ঘৃণ্য রসিকতা করছে।’ যদিও রাজ্যগুলির সঙ্গে একাধিক বৈঠক ও আলোচনার পরও সরকার জ্বালানির মূল্যের উপর GST বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। কারণ রাজ্যগুলির এতে সায় ছিল না।