সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর থেকে প্রশিক্ষণ নিতে সদস্যদের সিরিয়ায় পাঠাত কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)। এই সংগঠন ভারতের কিছু পড়শি দেশ থেকে অস্ত্রও আনানো হত। দিল্লির আদালতে এমনটাই জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-এর ২০ জন নেতার বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে মামলা চলছে। শনিবার আদালতের বন্ধ কক্ষে ওই মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানি প্রক্রিয়ার পর এনআইএ-র আইনজীবী রাহুল ত্যাগী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, শুধু অস্ত্র আনানোই নয়, সিরিয়াতেও সদস্যদের পাঠাত পিএফআই। আইএস যে কায়দায় সন্ত্রাস ছড়ায়, পিএফআই-ও একই কায়দায় ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। বিজেপি, আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের গতিবিধি নজরে রাখতে ওই সংগঠন একটি 'হিট স্কোয়াড'ও তৈরি করেছিল বলে দাবি করেছেন সরকারি আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালেকর সেপ্টেম্বর মাসে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর আওতায় পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে এনআইএ-র অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী। কিন্তু পাল্টা অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত আদালতে কোনও নাশকতাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি পিএফআই-এর যোগসূত্র প্রমাণ করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
২০১৯ সালে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদের সূত্রে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে বিজেপির নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশে হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ হিসাবে পিএফআই-কে চিহ্নিত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। অন্য দিকে, কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় এসডিপিআই এবং ‘আল হিন্দ’-এর মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের নাম উঠে এসেছিল।
