যে বিধিতে বাতিল রাহুলের সংসদ পদ, সেই আইনের বৈধতা নিয়েই মামলা সুপ্রিম কোর্টে

03:33 PM Mar 25, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) আদালতের রায়ের পর জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। এবার ওই ধারার সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই মামলা দায়ের করলেন সমাজকর্মী আভা মুরলীধরন। এদিকে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে রাহুল দাবি করলেন, আদানি ইস্যুতে তাঁর ভাষণে ভীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সংসদে তাঁর নামে মিথ্যাচার থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই শুধু আদানি ইস্যুতে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।

Advertisement

উল্লেখ্য, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৩) ধারায় অনুয়ায়ী ফৌজদারি অপরাধে দু’বছরের বেশি জেল হলে সাজা ঘোষণার দিন থেকেই ওই ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারান। এছাড়াও মুক্তির পর অন্তত ৬ বছর পর্যন্ত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। এর অর্থ, ২ বছরের জেলে সাজা পাওয়া রাহুলের পরবর্তী ৮ বছর ভোটে দাঁড়ানো হবে না। তবে উচ্চতর আদালত পাশা বদলে যেতে পার। বর্তমান রায়ের উপর স্থগিতাদেশ মিললেই সাংসদ ফিরে পদ ফিরে পেতেও অসুবিধা হবে না কংগ্রেস নেতার। এই অবস্থায় সাংসদ পদ খারিজের ৮(৩) ধারাকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন সমাজকর্মী আভা মুরলীধরন।

[আরও পড়ুন: ফের আগের মতো মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাবেন সরকারি কর্মীরা? নয়া কমিটি গড়লেন নির্মলা]

উল্লেখ্য, ৯ বছর আগে নিজের করা ভুলেই ‘রক্ষাকবচ’ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর পদ রক্ষার পথে অন্তরায় হয়েছে ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। ঘটনাচক্রে, এক দশক আগে ওই রায় কার্যকর করার পথ প্রশস্ত করেছিলেন তিনি নিজেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) আনা অধ‌্যাদেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পর ৮(৩) ধারা কার্যকর হয়। এক দশক পর সেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেই সাংসদ পদ খুঁইয়ে অস্বস্তিতে সোনিয়াপুত্র।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: বাড়িতে নগদ নয়, টাকা ব‌্যাংকে রাখায় জোর, লেনদেনের নয়া নিয়ম জানাল সিবিডিটি]

বৃহস্পতিবার মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গুজরাটের একটি আদালত দু’বছরের সাজা ঘোষণা করে রাহুলের। এরপর শুক্রবার ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর ধারা মেনে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। যদিও কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ”আমি শুধু সত্য নিয়ে চিন্তিত। সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ। আমি যদি সাংসদ না থাকি বা আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাও এই কাজ আমি করে যাব।” মোদি মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, “আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না।”

Advertisement
Next