সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বেকারত্বের হার নিয়ে যখন মোদি সরকারকে তোপ দাগছে বিরোধীরা, তখনই বিপুল সংস্থানের পরিসংখ্যান তুলে ধরল নীতি আয়োগ। সোমবার তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ইনসেনটিভ (PLI) স্কিমের সৌজন্যে অন্তত ৩ লক্ষ চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পিআইএ স্কিমের আওতায় দেশের মাটিতে পণ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। নীতি আয়োগের (NITI Aayog) সিইও পরমেশ্বরণ আইয়ারের দাবি, তাতেই ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি লগ্নি হয়েছে। যাতে তৈরি হয়েছে তিন লক্ষ কর্মসংস্থান। এই স্কিমটিতে অটোমোবাইল ও অটো কম্পোনেন্ট, পোশাক, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য, অত্যাধুনিক কেমিস্ট্রি সেল, বিশেষ স্টিল-সহ মোট ১৪টি সেক্টরে কমপক্ষে ২ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সব মিলিয়ে PLI স্কিমের আওতায় থাকা এই কর্মসূচিতে বেশ ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। ইতিমধ্যেই কর্মীদের প্রাপ্য ৮০০ কোটি টাকা ইনসেনটিভও দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের জাতীয় সংগীতের সময়ে দাঁড়ালে তবেই হিজাব পরব’, ইরানের মাটিতে দাবি শাটলারের]
দেশের তৈরি পণ্য যাতে আন্তর্জাতিক বাজারেও সাফল্য পায়, সেই কারণেই ২০২০ সালে এই স্কিমটি তৈরি করে কেন্দ্র সরকার। নীতি আয়োগের দাবি, এই স্কিমে আশানরূপ ফল মিলছে। এর মধ্যেই ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি লগ্নি হয়েছে। তৈরি হয়েছে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান। দু’লক্ষ টাকার পণ্যও উৎপাদিত হয়েছে। ২০২১-২২-এ এই প্রোগ্রাম থেকে আয়ের লক্ষ্য ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যায় ফল। ১ লক্ষ কোটিরও বেশি লেনদেন হয়েছে এই প্রোগ্রামে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪২২ কোটি। এবারও ভাল গতিতেই এগোচ্ছে কাজ। তাই গতবারের মতো লক্ষ্যপূরণের আশা রয়েছে এবারও।
নীতি আয়োগের তরফে খবর, এবার রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে সরাসরি যুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। যাতে এই স্কিমে লাভবান হতে পারে রাজ্যগুলিও।