সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন আগেই আদানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে তাঁর মুন্ডপাত করে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। একের পর এক প্রশ্নবাণে মোদিকে (Narendra Modi) জর্জরিত করেন রাহুল। শোনা যায় রাহুলের সেই ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ ভালভাবে নেননি মোদি। মনে করা হচ্ছিল, আজ সংসদে জবাবি ভাষণে আদানি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন মোদি। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে টানা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের জবাবও দিলেন। কিন্তু মুখে আনলেন না আদানির নাম।
বস্তুত, মোদি এদিন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ইউপিএ আমলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করলেন। মোদির অভিযোগ, ইউপিএ (UPA) আমলের ১০ বছরের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময়। ২০০৪-১৪ এই ১০ বছর দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই ১০ বছর। ওই ১০ বছর সব সুযোগকে সমস্যায় পরিণত করা হয়েছিল। এর বাইরে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন। তোপ দাগলেন ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়েও।
[আরও পড়ুন: সবাইকে একজোট করে দিয়েছে ইডি, সংসদে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর]
অথচ, ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের ভাষণে একবারও আদানির নাম মুখে আনলেন না তিনি। মোদি বক্তৃতা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে ‘আদানি আদানি’ রব শোনা গিয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) তদন্তের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজের পূর্বনির্ধারিত ভাষণই এদিন শুনিয়ে যান মোদি। বলেন, ওরা মনে করেন মোদিকে গালি দিলেই ওরা রাস্তা পেয়ে যাবে। উন্নতি হবে। কিন্তু মোদিকে মানুষ ভরসা করে। ২২ বছর দেশসেবা করে এই বিশ্বাস অর্জন করেছি।
[আরও পড়ুন: ‘লালচকে তেরঙ্গা উড়িয়ে… কে মায়ের দুধ খেয়েছে’, ‘ভারত জোড়ো’ নিয়ে রাহুলকে পালটা মোদির]
মোদির গোটা ভাষণে আদানি ইস্যুর অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খোঁজা দিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। খোদ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) এদিন অধিবেশনের শুরুতে মোদিকে ‘মৌনীবাবা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। দিনের শেষে রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা গেল, প্রধানমন্ত্রীর এই জবাবে আমরা সন্তুষ্ট নই। উনি আদানিকে আড়াল করছেন। যদি আদানি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু না হন, তাহলে সেটা প্রকাশ্যে বলা উচিত ছিল। বলা উচিত ছিল, এটা নিয়ে তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী আদানিকে আড়াল করছেন, এটা পরিষ্কার।