সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনশনের জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি 'জন সুরজ পার্টি'র প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। সোমবার নিঃশর্ত জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাটনার এক হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের সমর্থকদের দাবি অনুযায়ী, অনশনমঞ্চ কোথায় হবে সে বিষয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই সময় হঠাৎ সংজ্ঞা হারান তিনি। চোখে মুখে জলের ছিটে দিলে সংজ্ঞা ফেরে তাঁর। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, অনশনের জেরে ডিহাইড্রেশনের পাশাপাশি গলায় সংক্রমণ রয়েছে প্রশান্তের। এছাড়াও অন্যান্য নানান সমস্যা দেখা গিয়েছে। চিকিৎসক রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, 'আজ সারাদিন ওনার পরীক্ষা চলবে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, অভুক্ত অবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে থাকার ফলেই এই সমস্যা। সন্ধ্যের দিকে রিপোর্ট আসার পর সবটা স্পষ্ট হবে।'
উল্লেখ্য, বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ৫দিন ধরে পাটনা গান্ধী ময়দানে অনশন করছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ সেই অনশনমঞ্চে হানা দেয় বিহার পুলিশ। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবারই তাঁকে পাটনা আদালতে তোলা হলে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে পিকের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে জামিনের শর্তে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ তিনি আর করবেন না। এখানেই বাধে সমস্যা। প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। ধর্নায় বসা ও আন্দোলন করা তাঁর অধিকার। ভবিষ্যতে তিনি যদি কোনও আন্দোলন করেন তবেন এই শর্তের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করবে।’
এই অবস্থায় আদালতে প্রশান্তের আইনজীবীরা তাঁর নিঃশর্ত জামিনের দাবি জানান। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে সোমবার রাতে তাঁর নিশর্ত জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেন পাটনা সিভিল কোর্টের প্রধান বিচারক। এরপর বেউর থানায় ব্যক্তিগত মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান জন সুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন পিকে।