সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার মুম্বইয়ে প্রাক-বর্ষা কেড়ে নিল তিনজনের প্রাণ। যাঁদের মধ্যে দু’জনই শিশু। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টিতে থমকে বাণিজ্যনগরী। রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। ট্রেন থেকে বিমান পরিষেবা, সবই চলছে দেরিতে।
গতকাল দুপুর থেকেই বাণিজ্যনগরীর অধিকাংশ এলাকার আকাশ ছিল মেঘলা। সন্ধেয় থানে, পালঘর, রাইগাদ ও রত্নগিরি এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে এক ঝটকায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে নেমে শনিবার রাতের তাপমাত্রা দাঁড়ায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকভাবেই চরম গরম থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি শহরবাসী। যদিও মুম্বইয়ের আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান বিশ্বম্ভর সিং জানাচ্ছেন, মহারাষ্ট্রে এখনও বর্ষা ঢোকেনি। প্রাক-বর্ষাতেই ভিজেছে মুম্বই-সহ গোটা রাজ্য। আর এই বৃষ্টিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত দুই শিশু সারা খান ও ওমকার ফাড়তারের বয়স মাত্র ৯ ও ১০ বছর। প্রাণ হারান ৩২ বছরের অনিল যাদবও। জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে আটটা নাগাদ খিন্দিপাড়া এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে পা লেগেই মৃত্যু হয় অনিল ও সারার। এদিকে ভানদুপ রেল স্টেশনের কাছে শিবকৃপা নগর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ১০ বছরের ওমকার। ঘটনায় গুরুতর আহত ওমকারের বন্ধুও। আপাতত তার চিকিৎসা চলছে।
প্রবল বৃষ্টিতে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে বিমান ওঠা-নামা করতে পারেনি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়। একই হাল রেল পরিষেবারও। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে শহরজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ১০০টি বাড়িকে বিপদজনক ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ের দিন তিনেক আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে কেরলে। যার জেরে সেই রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রেও কয়েকদিনের মধ্যেই বর্ষার আগমন হবে বলে খবর। তবে প্রতিবারই মুম্বইয়ের বর্ষা ভয়ঙ্কর আকার নেয়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা শহর। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। মুম্বইয়ে ২০০৫ সালের বন্যায় প্রায় পাঁচশোরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
The post মুম্বইয়ে প্রাক-বর্ষায় বিপর্যস্ত জনজীবন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত দুই শিশু-সহ ৩ appeared first on Sangbad Pratidin.
