সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের প্রত্যেক নাগরিক পাবেন করোনার প্রিকশন ডোজ। শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ১০ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার থেকে শুরু হবে এই বুস্টার ডোজ দেওয়ার অভিযান। আপাতত বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে করোনার প্রিকশন ডোজ নিতে পারবেন সকলে।
কড়া বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে (Corona Vaccination) জোর দিয়ে বর্তমানে দেশে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। স্বস্তি দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থতার হার এবং কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। যে কারণে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাত থেকে কোভিড সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এরপরও মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সংক্রমণে লাগাম টানতে দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজও।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে বোমাতঙ্ক! ৭ টি স্কুলে লুকিয়ে শক্তিশালী বোমা, ইমেলে হুমকি পেয়ে তীব্র চাঞ্চল্য]
প্রথম পর্যায়ে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের কো-মর্বিডিটি ছিল, তাঁদেরকে দেওয়া হচ্ছিল করোনার বুস্টার ডোজ। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নির্দিষ্ট ব্যবধান মেনে এই ডোজ নিতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব প্রত্যেকের জন্যই শুরু হয় বুস্টার ডোজের (Booster Dose) অভিযান। সেই অভিযানের দিন কয়েক পরই কেন্দ্রের তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল যে সংক্রমণ রুখতে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্ককেই প্রিকশন ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনাই এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ। অর্থাৎ আপাতত টাকা খরচ করেই এখন বুস্টার ডোজ নিতে হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজের বাজারে মূল্য ধার্য হয়েছে ৬০০ টাকা।
ইতিমধ্যেই দেশে ১২ বছরের ঊর্ধ্বদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছরের উপরে ৯৬ শতাংশই করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ১৫ ঊর্ধ্ব ৮৩ শতাংশেরই জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে নতুন করে ভয় দেখাচ্ছে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট XE। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক দেশ।