সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আইএএস (IAS) আধিকারিকের ছেলের রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন পাঞ্জাবের (Punjab Politics) রাজনীতিতে। চলতি সপ্তাহেই দুর্নীতির অভিযোগে আইএএস আধিকারিক সঞ্জয় পপলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপরই তাঁর ছেলে কার্তিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পাঞ্জাবে। শনিবার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বাড়ির দোতলায় মাথায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন কার্তিক। শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। যদিও পরিবারের অভিযোগ, পাঞ্জাব ভিজিল্যান্স ব্যুরোর সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছেন। সে সময় তাঁর বাড়িতে তদন্তে গিয়েছিল ভিজিল্যান্স দল। কার্তিকের মায়ের তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভিজিল্যান্স (Vigilance) আধিকারিকরা মিথ্যা বয়ান দিতে পরিচারিকাদের হেনস্তা করছেন। আমার সাতাশ বছরের তরতাজা ছেলেটা চলে গেল। আমি বিচার চাই। আদালতে যাব।”
[আরও পড়ুন: নজরে ত্রিপুরার উপনির্বাচনের ফল, প্রথম রাউন্ড গণনার শেষে এগিয়ে মানিক সাহা, সুদীপ রায় বর্মন]
টেন্ডারে ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে চলতি সপ্তাহে আইএএস আধিকারিক সঞ্জয় পপলিকে (Sanjay Papli) গ্রেপ্তার করে ভিজিল্যান্স ব্যুরো। অভিযোগ বিভিন্ন টেন্ডার পাশ করানোর জন্য ১ শতাংশ ঘুষ নিতেন সঞ্জয়। যদিও ওই আইএএস আধিকারিকের দাবি, এই অভিযোগ সত্যি নয়। সরকারের উপরমহলকে আড়াল করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি কি ওদের খরচ মেটাচ্ছি?’, শিব সেনার বিধায়কদের ‘আশ্রয়’ নিয়ে পালটা হিমন্ত বিশ্বশর্মার]
সঞ্জয় পপলির স্ত্রীর অভিযোগ, ভিজিল্যান্স ব্যুরো মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তাঁদের। তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করে মিথ্যা বয়ান লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ছেলের মৃত্যুর পর রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ওই আইএএস আধিকারিকের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, আমার স্বামীর আদালতে হাজিরার আগে চাপ সৃষ্টি করতেই ছেলেটাকে খুন করা হয়েছে।