সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার পাঞ্জাবের (Punjab) অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) অপবিত্র করার চেষ্টা করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গণপিটুনিতে প্রাণ গিয়েছিল এক ব্যক্তির। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজ্যের কাপুরথালায় (Kapurthala) ঘটল একই রকমের ঘটনা। অভিযোগ, নিজামপুর গ্রামের এক গুরুদ্বারে রবিবার কাকভোরে নিশান সাহিবের অবমাননা করতে দেখা যায় জনৈক ব্যক্তিকে। এরপরই স্থানীয় জনতার হাতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্তর। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা ভোর ৪টের সময় দেখতে পান, ঠিক সেই সময় এক ব্যক্তি এসে নিশান সাহিবের অবমাননা করছে। এরপর স্থানীয় জনতার ভিড় দেখে সে সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করে। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে মারধর করে ক্ষুব্ধ জনতা। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি সেখানে ঢোকার পরে আচমকাই বিদ্যুৎ চলে যায়। সেই অন্ধকারের সুযোগে সে সেখানেই লুকিয়ে পড়ে। পরে আলো আসতেই ধরা পড়ে, সে নিশান সাহিবের অবমাননা করছে। যা ধরার পড়ার পরই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে গণধর্ষণে কঠোর সাজা রাজস্থানে, অভিযুক্ত ১৩ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড]
উল্লেখ্য়, এর আগে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় স্বর্ণমন্দিরে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সরাসরি সম্প্রচারও করা হচ্ছিল অনুষ্ঠানটি। সেখানে রীতিমাফিক শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় সামগ্রী রাখা ছিল। আচমকাই দেখা যায়, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ব্যারিকেড টপকে সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে। ধর্মীয় গ্রন্থের উপর পা রেখে দেয় সে। এই কাণ্ড দেখে ক্ষিপ্ত জনতা সঙ্গে সঙ্গে তাকে টেনে বের করে আনে। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। গণপিটুনিতে শেষমেশ মৃত্যু হয় তাঁর।
রবিবার রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রান্ডওয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের দাবি, এই ধরনের কাজ যে বা যারা করবে তাদের অন্তত ১০ বছরের কারাবাসের সাজা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই একটি সিট তথা তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। ওই দলটি অমৃতসরের ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে।