সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌন্দর্যায়নের নামে জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের ‘অসম্মান’ করা হচ্ছে। ইতিহাসবিদদের পাশাপাশি এবার সরব কংগ্রেস (Congress)। খোদ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) টুইট করে কেন্দ্রের এই ‘সৌন্দর্যায়নের’ বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। তাঁর সাফ কথা, ‘আমিও শহিদ সন্তান। শহিদদের অপমান কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না।’
আসলে ১৯১৯ সালের কুখ্যাত হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিবিজড়িত অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ গ্রাউন্ডের (Jallianwala Bagh) সৌন্দর্যায়ন করছে কেন্দ্র। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) তত্ত্বাবধানে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঠটির খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে হওয়া কুখ্যাত সেই হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিবিজড়িত মাঠটি ঝকঝকে আধুনিক প্রাচীরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বসানো হয়েছে বহু মূর্তি, তৈরি হয়েছে আধুনিক ফটো গ্যালারি, লাগানো হয়েছে আধুনিক ডিস্কো লাইটও। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ইতিহাসবিদরা। তাদের বক্তব্য, জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো জায়গা, যার সঙ্গে হাজার শহিদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, সংস্কারের নামে সেই জায়গার সৌন্দর্যায়ন করা যায় না।
[আরও পড়ুন: মথুরায় মদ এবং মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ, বড় সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের]
এদিন কংগ্রেসের একাধিক নেতাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, “জালিওয়ানওয়ালাবাগ শহিদদের এই অপমান তারাই করতে পারে, যারা শহিদ হওয়ার অর্থ বোঝে না। আমি একজন শহিদ সন্তান। আমি কোনও মুল্যেই শহিদদের অপমান সহ্য করব না। আমরা এই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করছি।” রাহুলের পাশাপাশি গৌরব গগৈয়ের (Gourav Gogoi) মতো নেতাও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছেন। সরব হয়েছেন ইরফান হাবিব, কিম ওয়াগনরের মতো ইতিহাসবিদরাও।
[আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক সংক্রমণ নামল ৩০ হাজারের কোঠায়, তবে অ্যাকটিভ কেস বাড়ছেই]
বস্তুত, জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রস্তাবিত এই ‘সৌন্দর্যায়ন’ নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। জানা গিয়েছে, জালিয়ানওয়ালাবাগের ফটো গ্যালারিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রথম শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের প্রতিকৃতির পাশেই রাখা আছে দুটি অর্ধনগ্ন মহিলার ছবি (Portrait)। অজন্তা এবং ইলোরার গুহাচিত্রের সঙ্গে এই ছবির মিল পাওয়া যায়। আর এই দুই নারীর ছবি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।