বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: লোকসভায় বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির ‘অশালীন’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির উদ্দেশে কটু মন্তব্য করেন তিনি। ইতিমধ্যেই রমেশকে শোকজ করেছে বিজেপি। এরই মধ্যে দানিশের বাড়ি গেলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতা এই সাক্ষাৎ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জানিয়ে দিলেন, ”ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান।” রাহুলের এহেন মন্তব্য আগেও শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। এবার বিজেপি সাংসদের ‘অশালীন’ মন্তব্যের পরও ‘ঘৃণার বাজার’ তোপ দাগতে দেখা গেল রাহুলকে।
এদিকে দানিশ (Danish Ali) আবেগপ্রবণ হয়ে জানিয়েছেন, তাঁর মনে হচ্ছে তিনি আর একা নন। তাঁর কথায়, ”রাহুল গান্ধী আমার মনোবল বাড়াতে এখানে এসেছেন। জানিয়েছেন, ওই কথা যেন আমি মনে না নিই এবং নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখি। এতে আমি আশ্বস্ত হচ্ছি যে আমি একা নই।” পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, তাঁকে যে ধরনের মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে তা সংবিধান ও গণতন্ত্রের উপরেই হামলা। রাহুলের ‘ভালোবাসার দোকান’ মন্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ”এটা সত্যিই আক্ষেপের যে, রাস্তায় যে ঘৃণার বাজার খোলা হয়েছিল তা অমৃতকালে নতুন সংসদ ভবনের মধ্যেও খোলা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের জের! উদয়নিধিকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চন্দ্রযান নিয়ে আলোচনার সময় বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির উদ্দেশে কটু মন্তব্য করেন রমেশ। বারবার তাঁকে থামতে বলা হলেও তিনি থামেননি। আর এরপরই বাঁধে বিতর্ক। পরিস্থিতি সামলাতে ক্ষমা চান রাজনাথ। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”যদি ওই সদস্যের মন্তব্যে বিরোধীরা আহত হয়ে থাকেন, সেজন্য আমি ক্ষমা চাইছি।” যদিও বিরোধীদের দাবি, কেবল ক্ষমাই যথেষ্ট নয়। রমেশ বিধুরিকে সাসপেন্ড করা হোক।
